রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০৪ অপরাহ্ন
আমতলী প্রতিনিধি॥ বরগুনার আমতলীতে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে লকডাউনের প্রথমদিনে শহরের ব্যস্ততম স্থানগুলোর দোকানপাট সকাল থেকে প্রতিদিনের মত খোলা ছিল। শহরের মধ্যে অটোরিকশা, মোটরসাইকেল এবং উপজেলার অভ্যন্তরীণ রুটে বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে।
আজ সকাল ১১টার পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আসাদুজ্জামান আমতলী থানা পুলিশের সহায়তায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম শুরু করার সংবাদে ব্যস্ততম স্থানগুলিতে ঔষধসহ নিত্য পণ্যের জিনিসপত্রের দোকান ব্যতীত ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সাময়িক বন্ধ করে দেয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আসাদুজ্জামান আমতলী চৌরাস্তায় হ্যান্ডমাইক দিয়ে জনসচেতনতা মূলক প্রচার-প্রচারণা করেন। এ সময় তিনি সরকার ঘোষিত ১৮ দফা মেনে সকলকে মাস্ক ব্যবহার ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বিনাপ্রয়োজনে বাহিরে ঘোরাঘুরি না করার জন্য অনুরোধ করেন।
এরপর তিনি আমতলী চৌরাস্তা, বটতলা, একে স্কুল ও পুরান বাজারের বেশ কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রেখে ক্রয় বিক্রয় করার অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে জরিমানা করেন। ভ্রাম্যমাণ আদালত চলে যাওয়ার পর বিশেষ করে চায়ের দোকানগুলোর একপাশ খুলে তাদের ব্যবসায়ীক কার্যক্রম পরিচালনা করতে দেখা গেছে। তবে উপজেলার গ্রামাঞ্চলের হাঁট-বাজারগুলোতে সরকার কর্তৃক ঘোষিত ১৮ দফা নির্দেশনা ও লকডাউন মানতে দেখা যায়নি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক মোঃ আসাদুজ্জামান মুঠোফোনে বলেন, যারা সরকারের নির্দেশনা অমান্য করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply