বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:২৬ পূর্বাহ্ন
দুমকি প্রতিনিধি॥ স্বামী-সন্তান হারিয়ে একমাত্র সম্বল ছিল নিজের বসতভিটা। কিন্তু সেই সম্বলটুকুও নদী কেড়ে নিল। সবকিছু হারিয়ে এখন নদীর পাড়েই কাটছে দিন। বলছি, পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার আঙ্গারিয়া বাহেরচর এলাকার ৭০ বছর বয়সী শেফালী বেগমের কথা। শেফালীর মতো আরো অনেকেরই আগুনমুখা নদীতে হারিয়ে গেছে হাজারো স্বপ্ন। আগুনমুখা নদীর অব্যাহত ভাঙনে আতঙ্কে রয়েছে শতাধিক পরিবার।
দীর্ঘদিন ধরে চলমান ভাঙন রোধে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করলেও আশ্বাস ছাড়া কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেই পানি উন্নয়ন বোর্ডের। এরই মধ্যে নদীতে চিরতরে হারিয়ে গেছে বসতঘর, ফসলি জমিসহ কোটি কোটি টাকার সম্পদ।
বসতঘর হারানো শেফালী বেগম বলেন, ১৫ বছর আগে স্বামী ইউনুছ সিকদারকে হারাই। তিন বছর আগে সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম সন্তান খলিল সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। এরপর মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে পাওয়া কিছু টাকায় চলতো সংসার। কিন্তু নদীর তীব্র ভাঙনে একমাত্র বসতঘরটি তলিয়ে যায়। বর্তমানে দিকবেদিক ছোটাছুটি করে জীবন কাটাতে হচ্ছে।
অসহ্য যন্ত্রণা বুকে চেপে ধরে নদীর পাড়ে দিনের বেশি সময় কাটিয়ে দেন শেফালী বেগম। বসতঘর হারিয়ে সড়কের পাশেই খুপড়ি ঘরে থাকছেন তিনি।
পটুযাখালী পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তা হাসানুজ্জামান বলেন, নদীভাঙন রোধে কাজ চলছে। যেসব এলাকায় নদীভাঙন চলমান, সেসব এলাকার বাসিন্দাদের বিকল্প বসবাসের ব্যবস্থা করা হবে। তাদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।
Leave a Reply