শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩৪ পূর্বাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ সাগরে লঘুচাপ এবং পূর্নিমার প্রভাবে বরিশাল নগরীর পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া কীর্তণখোলা নদীর পানি বুধবার বিকেলে বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
এতে নদীর পানি উপচে নগরীর অধিকাংশ এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে।
কীর্তণখোলাসহ দক্ষিণাঞ্চলের সবকটি নদ-নদীর পানি বুধবার বিকেলে বিপদসীমা অতিক্রম করে।
মেঘনা তীরবর্তী উপজেলা মেহেন্দিগঞ্জ, হিজলা, মুলাদী উপজেলার দুই-তৃতীয়াংশ জনপদ পানির নিচে তলিয়ে যায়। এর ফলে পানিবন্দী হয়ে পড়ে ওই তিন উপজেলার চরাঞ্চলের হাজার হাজার পরিবার। ভেসে গেছে ওইসব এলাকার মাছের ঘের।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বরিশালের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মাসুম জানান, পূর্নিমার প্রভাবে অস্বাভাবিক জোয়ার হওয়ায় দক্ষিণাঞ্চলের নদ-নদীর পানি বিদপসীমা অতিক্রম করেছে। ভাটা শুরু হলেই পানি নেমে যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
বরিশাল নগরীর প্রাণকেন্দ্র সদর রোডে বিকেল ৩টার দিকে জোয়ারের পানি প্রবেশ করতে শুরু করে। নদীর সঙ্গে সংযোগ থাকা ড্রেন দিয়ে পানি ঢুকে ডুবে যায় নগরীর প্রধান সড়ক সদর রোডের একাংশ। সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে অশ্বিনী কুমার হল এলাকা ও তার আশপাশের সড়ক পানির নিচে তলিয়ে যায়। পানি প্রবেশ করে অনেক বসতবাড়িতেও।
নগরীর নিচু এলাকা হিসেবে পরিচিত কীর্তনখোলার তীরের জনপদ সাগরদী ধান গবেষণা সড়ক, পূর্ব রূপাতলী, জাগুয়া, আমানতগঞ্জ, পলাশপুরসহ আরও অনেক এলাকা হাঁটু পরিমান পানি নিচে তলিয়ে যায়। সবচেয়ে সংকটে পড়ে কীর্তণখোলা তীরসংলগ্ন রসুলপুর, কলাপট্রি, পলাশপুর, বরফকল ও স্টেডিয়াম বস্তির বাসিন্দারা।
পাউবোর উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মাসুম জানান, বুধবার বিকেল ৬টায় কীর্তণখোলার পানি বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। তখনও পানি বৃদ্ধি পাচ্ছিল। সন্ধ্যা ৭টার দিকে ভাটা শুরু হয়েছে। এখন পানি কমতে শুরু করবে।
তিনি আরও জানান, সবচেয়ে বেশী পানি বৃদ্ধি পেয়েছে ভোলার পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া মেঘনার শাখা তেঁতুলিয়াসহ অন্যান্য নদীগুলোতে।
ভোলা শহরসংলগ্ন তেঁতুলিয়া নদীর পানির উচ্চতা বিকেল ৪টার দিকে বিপদসীমার ৬০ সেন্টিমিটার অতিক্রম করে। বোরহাউদ্দিন উপজেলা সংলগ্ন মেঘনার শাখা নদীতে পানি প্রবাহিত হয়েছে বিপদসীমার ১ মিটার ওপর দিয়ে। তবে ভোলা শহররক্ষা বাঁধের কারণে শহরের ভেতরে পানি প্রবেশ করতে পারেনি।
Leave a Reply