মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৬ পূর্বাহ্ন
পিরোজপুর প্রতিনিধি॥ পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার কচা নদী সংলগ্ন পূর্ব চরবলেশ্বর গ্রামের এলজিইডি সড়কটি সুপার সাইক্লোন সিডরে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার দীর্ঘ এক যুগ পেরিয়ে গেলেও আজও সংস্কার হয়নি। এক সময়ের কালো পিচের এই সড়কটি বর্ষা মৌসুমে কাদাপানিতে একাকার থাকায় স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় বাসিন্দাদের দুর্ভোগের যেন শেষ নেই। শুধু বর্ষাকালই নয় শুকনো মৌসুমেও সড়কটির অবস্থা খারাপ থাকে। জলোচ্ছাসে সড়কটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর প্রতি বছর জনপ্রতিনিধিদের আশ্বাসে মাঝেই কেটে গেল ১২টি বছর।
জানা যায়, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মরহুম আব্দুস সোবাহান জীবিত থাকাকালীন তার তদারকিতে দুই যুগ আগে তার নিজ এলাকা বালিপাড়া বাজোরের সাথে সংযোগ সড়ক সরদার বাড়ির মোড় থেকে ছোরের খালের পুল পর্যন্ত প্রায় ১ কিলোমিটার কার্পেটিং সড়ক নির্মাণ করা হয়। আর এটিই বালিপাড়া ইউনিয়নের সর্ব প্রথম কার্পেটিং সড়ক। এই সড়কটি দিয়ে পূর্ব চরবলেশ্বর গ্রামের অসংখ্য শিক্ষার্থীদের স্কুল, কলেজ, মাদরাসায় যেতে হয়। এমনকি এখানে দক্ষিণাঞ্চলের প্রথম সারির একটি বেসরকারি এনজিও প্রতিষ্ঠান রয়েছে যার অধিকাংশ কর্মী ও গ্রাহকদের চলাচলের জন্য বিকল্প ইট সোলিং সড়কটির অবস্থা দীর্ঘ বছর ধরে বেহাল থাকায় এই সড়কটিই তাদের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা।
বর্তমানে সড়কটির কোথাও কালোপিচের আস্তর নেই। ইট খোয়া, বালি ধুয়ে গিয়ে কাদা পানিতে একাকার হয়ে যাওয়ায় সড়কটি দিয়ে চলাচলের একেবারে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। প্রতিবছর বর্ষার সময় স্থানীয় যুবকরা স্বেচ্ছাশ্রমে কোনোমতে ইট বালু ফেলে সড়কটি দিয়ে চলাচলের ব্যবস্থা করে থাকে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় বাসিন্দারা সড়কটি সংস্কারের ব্যাপারে বারবার জনপ্রতিনিধিদের কাছে দাবি জানিয়ে আসলেও এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তাই দুর্দশা লাঘবে এলাকাবাসী সড়কটি দ্রুত সংস্কারের জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
স্থানীয় দুলাল হাওলাদার জানান, সত্যিই এই সড়কটি জন্য আমরা চরম দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছি।
স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা মো. শাহজাহান হাওলাদার জানান, এই সড়কটি সংস্কার না হওয়ায় একালাবাসী চরম দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছে। দ্রুত সড়কটি সংস্কার করার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
উপজেলা চেয়ারম্যান এম মতিউর রহমান বলেন, সড়কটির আসলেই খুব খারাপ অবস্থা। সড়কটি যাতে দ্রুত সংস্কার হয় সেজন্য স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে তালিকা পাঠানো হয়েছে।
Leave a Reply