বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৪ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ আসছে কোরবানির ঈদে দেশের বাজারে পেঁয়াজের চাহিদা বাড়বে। এ বিষয়টি মাথায় রেখে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা এরই মধ্যে ভারত থেকে পণ্যটির আমদানি বাড়িয়ে দিয়েছেন। ফলে হঠাৎ করেই স্থলবন্দরের পাইকারি বাজারে আমদানি করা পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়ে গেছে। সেই তুলনায় বাড়েনি পণ্যটির বেচাকেনা। এ পরিস্থিতিতে প্রভাব পড়েছে পেঁয়াজের দামে। বাড়তি সরবরাহের জের ধরে পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম কমতে কমতে কেজিপ্রতি সাড়ে ১৪ টাকায় নেমে এসেছে।
একদিকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ও বৈরী আবহাওয়ায় বেচাকেনা না থাকা, অন্যদিকে দরপতনের জের ধরে আর্থিকভাবে লোকসানের মুখে পড়েছেন স্থানীয় আমদানিকারকরা। বুধবার (২৪ জুন) হিলি স্থলবন্দরের আড়তগুলো ঘুরে ভারতের নাসিক ও ইন্দোর থেকে সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ আমদানি হতে দেখা যায়। এ সময় আমদানি করা তুলনামূলক ভালোমানের পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ১৪ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১৫ টাকা ৫০ পয়সায় বিক্রি হতে দেখা যায়। এক সপ্তাহ আগেও একই মানের আমদানি করা পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ২৩-২৪ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।
তবে বৃষ্টির কারণে আমদানি করা অনেক পেঁয়াজ এরই মধ্যে পচতে শুরু করেছে। কমে গেছে মান। নিম্নমানের এসব পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ১১-১২ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। অন্যদিকে হিলি স্থলবন্দরের খুচরা বাজারে ভারত থেকে আমদানি করা প্রতি কেজি পেঁয়াজ মানভেদে ১২-১৬ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। এক সপ্তাহ আগেও এসব পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ২০-২৪ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।
স্থানীয় আমদানিকারকরা জানান, দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের পর সরকারি ছুটি ঘোষণা হলে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজসহ সব ধরনের পণ্যের আমদানি-রফতানি বন্ধ হয়ে যায়। ওই সময় প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ভারতজুড়ে জারি করা হয় লকডাউন। টানা সরকারি ছুটি ও লকডাউনের ফাঁদে হিলির আমদানিকারকরা চাইলেও পেঁয়াজের চালান দেশে আনতে পারেননি। দীর্ঘ ৭৫ দিন বন্ধ থাকার পর গত ৮ জুন থেকে এ স্থলবন্দর দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়। গত সপ্তাহে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ২০-২৫ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হলেও বর্তমানে তা ৪০-৪২ ট্রাকে উন্নীত হয়েছে। গত নয়দিনে এ স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে দেশের বাজারে সাড়ে সাত হাজার টনের বেশি পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।
Leave a Reply