রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪৪ পূর্বাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক।। পৃথিবী আজ বিপন্ন বিষণ্ন। সবজাতিগোষ্ঠিকে নতুন করে ভাবতে হচ্ছে জীবনের সমীকরণ। এযাবৎকালের ভয়াবহতম মহামারিতে তছনছ হয়ে গেছে সবকিছু। চারদিকে শুধু করোনার অভিঘাত। পৃথিবীর লাখ লাখ মানুষ আক্রন্ত করোনাভাইরাস জনিত রোগ কোভিড -১৯এ।
অদৃশ্য ও ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র এক ভাইরাসের কাছেই মানুষ আজ বড়বেশি পরাজিত। পৃথিবীর দেশে দেশে টান পড়েছে অর্থনীতিতে। খাদ্যে। বাণিজ্যে। চলাচলে। স্বাস্থ্যে। শিক্ষায়। কীভাবে এই পরিস্থিতি থেকে স্থায়ী উত্তরণ ঘটবে এমন কোনও আশার আলো এখনও জ্বলেনি কোথাও। নেই শুভ বার্তা।
এর ভেতরেই জীবনকে নিয়ে হাঁটতে হচ্ছে মানুষকে। এর ভেতরেই স্বপ্ন দেখতে হচ্ছে। এর ভেতরেই রচনা করতে হচ্ছে আগামীর সম্ভাবনা।পৃথিবীর সবদেশের বাস্তবতা যা-ই হোক। বাংলাদেশের বাস্তবতা একটু ভিন্ন। কারণ, যুগ যুগ ধরে যাবতীয় প্রতি কুলতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে টিকে থাকাই বাঙালি জীবনের সবচেয়ে বড় সত্য। কৃষি ও গ্রাম প্রধান বাংলা যুগ যুগ ধরে প্রাকৃতিক ও মানুষ সৃষ্ট বহু বিপর্যয় ও মহামারি পার করেছে। বহু জীবন ও ত্যাগের বিনিময়ে নিজস্ব ভূমি, সংস্কৃতি, ভাষা ও জাতিগত স্বাধীনতা অর্জন করেছে।
পৃথিবীর কাছে হতদরিদ্র ও তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে সবচেয়ে সম্ভাবনাময় জাতির গৌরব অর্জন করেছে। যেকোনও দুর্যোগে বাংলাদেশের মানুষের টিকে থাকা ও উঠে দাঁড়ানোর ক্ষমতা নিয়ে কোনও প্রশ্ন নেই। তারা শত বিপর্যয়ের পরও হাসতে পারে। এবারও পারবে। এর মাঝে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় আমফান। এখনও দেশের উপকূলীয় জেলাগুলোয় প্রাকৃতিক ও দুর্যোগের অভিঘাত ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। এখনও মানুষের জীবন জীবিকায় রয়ে গেছে তার কঠিন প্রভাব। লবণাক্ত এলাকায় ফসল উৎপাদন করতেনা পেরে দুর্বিসহ সংকটে পড়ছে মানুষ। কিন্তু প্রতিনিয়ত সংকটে চলা মানুষের জন্য এই কষ্টও যেন কোনো কষ্ট নয়। তারা পার হয়ে যায় জীবনের পথ।
বাংলাদেশের কৃষকের কাছে প্রতিকূলতাই স্বাভাবিক। মাটির বুক থেকে ফসল ফলিয়ে আনা চাট্টিখানি কথা নয়। শ্রমে ঘামে কৃষক এক অনন্য মানুষ। ঈদে পার্বণে উৎসবে কৃষকই যুগিয়ে দেয় মূল উপকরণ মুখের খাবার। কিন্তু আমরা কি ভেবেছি কৃষকের ঈদের আনন্দ কতটুকু কতটুকু তার মলিন বেদনার দিন!
শাইখ সিরাজের পরিকল্পনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনায় ‘কৃষকের ঈদ আনন্দ বেদনা’ প্রচারিত হবে ঈদের পরদিন বিকাল সাড়ে ৪টায় চ্যানেল আইতে।
Leave a Reply