মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:১৯ পূর্বাহ্ন
বরগুনা প্রতিনিধি॥ বাংলাদেশের উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’। সাগর উত্তাল থাকায় জেলার সব ধরনের মাছ ধরার ট্রলার নিয়ে সমুদ্র থেকে উপকূলে ফিরেছেন জেলেরা। জেলেরা উপকূলে ফিরে আসায় তেমন জীবনহানির সম্ভাবনা নেই।
কিছু ট্রলার এখনও ফিরে আসতে না পারলেও কাছাকাছি এসেছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির নেতারা।
বাংলাদেশ মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, সাগর উত্তাল থাকায় বেশিরভাগ মাছ ধরার ট্রলার ঘাটে ফিরে এসেছে। যারা আসতে পারেননি তারাও কাছাকাছি এসেছেন। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ চলছে।
ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পানের’ প্রভাবে উপকূলের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে। ঝোড়ো বাতাস ও ভারী বৃষ্টির কারণে পরিপক্ব হয়ে ওঠা এ সব ফসলের বেশিরভাগই ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ কারণে কৃষি বিভাগ থেকে তা সংরক্ষণের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
পাথরঘাটা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা শিশির কুমার বড়াল জানান, আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্য মতে বুধবার ভোরে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে পারে। এ কারণে কর্তন উপযোগী সব ফসল অতিদ্রুত সংগ্রহ করার জন্য কৃষকদের মাইকিং করে অনুরোধ করা হয়েছে।
পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. হুমায়ূন কবির সাংবাদিকদের জানান, পাথরঘাটা উপকূলবর্তী হওয়ায় বেশি ঝুঁকিতে থাকায় আমরা সতর্ক রয়েছি। দুর্যোগ থেকে জান-মাল রক্ষার্থে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। মানুষকে নিরাপদে রাখতে ৭৪টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা রাখা হয়েছে। মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনগুলো খোলা রাখারও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি), রেড ক্রিসেন্টসহ বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের স্বেচ্ছাসেবকরা প্রস্তুত রয়েছেন। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও রোভার স্কাউটের সদস্যরাও যে কোনো ধরনের সহায়তা করবেন।
ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে এরই মধ্যে সাগর উত্তাল হয়ে উঠেছে। আবহাওয়া অধিদফতর থেকে পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি বঙ্গোপসাগরে সব মাছ ধরা ট্রলার পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
Leave a Reply