মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২৬ পূর্বাহ্ন
বরগুনা প্রতিনিধি॥ বরগুনা পৌর শহরের কেজিস্কুল এলাকায় করোনার উপসর্গ নিয়ে এক মাইনুর রহমান নিশাত (২৭) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তার মৃত্যুর পর তার স্ত্রী পালিয়ে বাবার বাড়ি চলে গেছে।
এছাড়া একই উপসর্গে মারা গেছেন এক বৃদ্ধ (৭৫)। বৃদ্ধকে রোববার রাতের আঁধারে সবার অগোচরে দাফন করেছেন স্বজনরা।
মাইনুর রহমান নিশাত পৌর শহরের কেজিস্কুল ক্রোক এলাকার আইউব ম্যানশনের বাসিন্দা গোলাম সরোয়ার নান্টু ছেলে।
নিশাতের স্বজনরা জানায়, নিশাত কয়েকদিন ধরে জ্বর, সর্দি ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। মধ্যরাতের পর তীব্র শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। কিন্ত কোনো চিকিৎসক সাড়া দেননি। হাসপাতালে নেয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি।
খুব ভোরে ওই যুবকের মৃত্যু হয়। স্বাস্থ্য বিভাগ তার নমুনা সংগ্রহ করেছে। বাড়ি লকডাউন করেছে প্রশাসন। ওই যুবকের মৃত্যুর পর তার স্ত্রী পালিয়ে পাথরঘাটার নাচনাপাড়া ইউনিয়নের কাজিরহাট গ্রামে বাবার বাড়িতে চলে যান।
স্থানীয়রা স্ত্রীর বাবার বাড়িটিও লকডাউন করে লাল নিশান টানিয়ে দিয়েছে। অপরদিকে রোববার গভীর রাতে কেজিস্কুল এলাকার ডাক্তার বাড়ি সড়কে জ্বর ও শ্বাসকষ্টে এক বৃদ্ধ মারা যান। বৃদ্ধের স্বজনরা বিষয়টি গোপন রেখে রাতের আঁধারেই গ্রামের বাড়িতে দাফন করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা জানান, মারা যাওয়া বৃদ্ধ তার মেয়ে জামাই রিয়াজ খাঁনের বাসায় থাকতেন। তিনি জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে বাইরে ঘোরাফেরা করতেন। কিন্ত তার মৃত্যুর পর স্বজনরা বিষয়টি গোপন রেখে রাতেই গ্রামের বাড়ি ঢলুয়া ইউনিয়নে দাফন সম্পন্ন করেছেন।
যোগাযোগ করা হলে বৃদ্ধের মেয়ে জামাই রিয়াজ খান বলেন, তার শ্বশুর আগে থেকেই নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত ছিলেন। করোনার উপসর্গ তার ছিল না। পরিস্থিতি বিবেচনায় তাকে রাতেই দাফন করা হয়েছে।
বরগুনার সিভিল সার্জন হুমায়ুন শাহীন খান বলেন, মৃত যুবকের নমুনা সংগ্রহ করে বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। তবে বৃদ্ধের বিষয়টি স্বাস্থ্য বিভাগের জানা ছিল না।
Leave a Reply