বরগুনা প্রতিনিধি ॥  বরগুনা সদর উপজেলাধীন ৫নং আয়লাপাতাকাটা ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড জাঙ্গালীয়া গ্রামের স্হানীয় ছাদেম বাজার সংলগ্ন বেড়িবাঁধ (ওয়াপদা) নদীগর্ভে প্রায় দুই তৃতীয়াংশ বিলীন হয়ে গেছে। পায়রার ভয়াল আগ্রাসনের বর্তমান পরিস্থিতি চলতে থাকলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সম্পূর্ণ বেড়ীবাঁধ নদীগর্ভে বিলীন হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আর এমনটা হলে হুমকির মুখে পরবে এ অঞ্চলে বসবাসরত প্রায় ১৫ হাজার মানুষ। পানিবন্দি হবার সম্ভাবনা রয়েছে পাশাপাশি আরো তিনটি গ্রামের প্রায় ৭০ হাজার মানুষের। গৃহহীন হয়ে পরার আশংকায় অত্রঅঞ্চলে বসবাসরত মানুষ।

অত্র এলাকার বাসিন্দা বাশার মল্লিক(৩০) পিতা- গনি মল্লিক বলেন ফসলী জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ায় মানবেতর জীবনযাপন করছি। আবদুল(৫২) সালাম(৫০), আবুল(৫৫) খান, মান্নান(৪০) বলেন, এলাকায় তারা ছিলেন মোটামুটি অবস্থাসম্পন্ন পরিবার কিন্তুু নদী তাদেরকে নিঃস্ব করে দিয়েছে। সফিক আহম্মদ (২৮)বলেন, কয়েক বছর আগে আমরা নতুন বাড়ী বানিয়েছি সেটাও বিলীনের পথে। মানব কল্যান সংগঠনের সভাপতি মো:আবুল কাশেম বলেন আমাদের দাদুর বাড়ী নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে এরপর নতুন যে বাড়ী নদী থেকে প্রায় ১.৫ কি. মি. দূরত্বে ছিল সেটাও আজ হুমকির সম্মুখীন।

ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আজমল হুদা মিঠু বলেন, বারবার কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করলেও প্রত্যাশিত ফলাফল পাওয়া যায়নি।

গত কয়েক মাস আগে বেড়ীবাঁধ নির্মাণে প্রায় কোটি টাকা বরাদ্দ থাকলেও নাম মাত্র কাজ হয়েছে যেটা এলাকার মানুষের জন্য কোন সুফল বয়ে আনতে পারেনি। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জুবায়ের আদনান অনিক সেখানে গিয়ে বলেন প্রয়োজনীয় যা করার শীঘ্রই সেটা করা হবে। এমতাবস্থায় এলাকাবাসীর প্রাণের দাবি সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের মাধ্যমে নদীর ভাঙ্গন রোধে সচেষ্ট হবেন।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করলে বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী দিপক রঞ্জন দাশ জানান, বরগুনার নদীভাঙনের পরিমাপ করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই বেড়িবাঁধের কাজ শুরু হবে।