শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০:৪৭ অপরাহ্ন
মো. সুজন মোল্লা,বানারীপাড়া (বরিশাল) থেকে: আওয়ামী লীগ,উপ-মহাদেশের প্রাচীণতম সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক সংগঠন। যে সংগঠনটির নেতৃত্বে পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙ্গে বাংলা মা হয়েছিলো প্রিয় স্বাধীনতায় প্রস্ফুটিত। সেই দলটির মহা-নায়ক বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকহানাদার বাহিনীর সাথে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন সে সময়ের যে টকবগে যুবক আ. হাকিম আজ সে শয্যাশায়ি।
ওই সময়ে যুদ্ধের ময়দানে সম্মুখ যুদ্ধ করতে গিয়ে তার একটি হাত মারাত্বক জখম হয়েছিলো। স্বাধীনতার পরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আদর্শ বুকে ধারণ ও লালন করে চলা এই যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা কখনও দলটির দুঃসময়ে পিছপা হননি যেকোন কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে।
তবে বিগত কয়েক বছর পর্যন্ত ত্যাগী আওয়ামী লীগের কর্মী ও সমর্থকরা যখন বানারীপাড়া উপজেলায় একেবারে কেতানঠাসা হয়ে পরেছিলেন,তখন ত্যাগী এই দামাল সন্তানকে দেখাগেছে কেবলই হতাশার সুরে কথা বলতে। তবুও ধমে জাননি তিনি। সংগঠনের সঠিক নেতাকে নেতৃত্ব দানের বিষয়ে অনর থেকে নেতা বাছাইয়ের ভূমিকায় ছিলেন সর্বদা সরব।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার সেই কাঙ্খিত নেতা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি মো. শাহে আলম নৌকার মনোনয়ন পেয়ে গেলে দলীয় কার্যালয়ে আসা শুরু করেন,এই যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আ.হাকিম,তখন হাজার হাজার ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতা এবং কর্মীদেরমতো হাসি ফুটে এই বীর সন্তানের মুখেও। বর্তমানে তিনি অসুস্থ্য হয়ে নিজ বাড়িতে উপজেলার ধারালিয়া গ্রামে দিনাতিপাত করছেন।
এমন সংবাদ শুনে ২ অক্টোবর বিকেলে বানারীপাড়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান,উপজেলা যুবলীগের আইকন মো. নুরুল হুদা ছুটে যান যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আ. হাকিমের বাড়িতে। তাকে কাছে পেয়ে “আনন্দ অশ্রু”সংবরণ করতে পারেননি বাংলা মায়ের অকুতভয় এই বীর সৈনিক। অকপটে বলেই ফেললেন স্বাধীনতার পরে এমন সুখ আর কখনও অনুভব করিনিরে বাবা,তখন আবেক আপ্লুত হয়ে বাহু বন্ধনে আবদ্ধ হলেন দুজনেই। কেবলই পেয়েছি অবঙ্গা আর অবহেলা।
Leave a Reply