বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৫:৪৯ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক:ঈদ উল আজহা উপলক্ষে বিভিন্ন মহাসড়কে ধীরগতিতে চলছে দূরপাল্লার বাসগুলো, এছাড়া রাজধানী থেকে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনগুলোও ছাড়ছে বিলম্বে। রোববার সকালে কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে সব ট্রেন নির্ধারিত সময়ে ছেড়ে যেতে পারেনি। সকাল থেকে যে সংখ্যক ট্রেন স্টেশন থেকে গন্তব্যের উদ্দেশে যাত্রা করেছে তার অনেকগুলোই সময়সূচি থেকে ৩০ মিনিট থেকে দেড় ঘণ্টা পর্যন্ত দেরি করে ছেড়েছে।
তবে এজন্য মূলত যাত্রীরা দায়ী বলে মনে করছে স্টেশন কর্তৃপক্ষ।
এর মধ্যে রাজশাহী ও চট্টগ্রাম আন্তনগর ট্রেন রয়েছে। ভোর থেকেই ট্রেনের সময়সূচি দেয়া মনিটরের সামনে দেখা গেছে যাত্রীদের জটলা, যা ট্রেন দেরি করার ফলে আরও বেড়েছে। যদিও কর্তৃপক্ষ বলছে, সকালে শুধু দু’টি ট্রেন ছাড়তেই বিলম্ব হয়েছে, এর বেশি নয়।
এ বিষয়ে কমলাপুর রেল স্টেশনের স্টেশন ম্যানেজার শীতাংশু চক্রবর্তী চ্যানেল আইকে জানান, সার্বিক অবস্থা মোটামুটি ভালো। সকাল থেকেই মোটামুটি ঠিক সময়েই ট্রেনগুলো রওনা দিতে পারছে। স্বতঃস্ফূর্তভাবেই যাত্রীরা যাত্রা করছেন। এবার যেভাবে সুশৃঙ্খলভাবে যাত্রীরা টিকিট কিনেছেন, ঠিক সেভাবেই সুশৃঙ্খলভাবে ট্রেনে চড়ছেন তারা।
রোববার সকাল ৯টা পর্যন্ত ১২টি ট্রেন বিভিন্ন গন্তব্যের জন্য স্টেশন ছেড়ে গেছে উল্লেখ করে স্টেশন ম্যানেজার বলেন, শুধু ধূমকেতু ও সুন্দরবনের রওনা দিতে একটু দেরি হয়েছে। বাকি সবগুলো মোটামুটি সময়মতো যাচ্ছে আসছে।
তবে নীলসাগর ট্রেনটি আসতে দেরি করছে জানিয়ে শীতাংশু চক্রবর্তী বলেন, এ বিলম্ব শুধু যাত্রীদের কারণেই। একটি ট্রেনের যাত্রাপথে বিভিন্ন স্টেশনে বিরতি হয়। যেখানে ২ মিনিট বরাদ্দ, সেখানে দেখা যায় ১০ থেকে ১৫ মিনিটও লাগে। সেই ১০/১৫ মিনিট থাকে হিসেবের বাইরে। ফলে যাওয়ার সময় যে দেরিটা হয়, আসার সময়সূচিতে তার প্রভাব পড়ে।
তবে অন্য কোনো সমস্যা নেই বলে জানান শীতাংশু। বলেন, এখানে সবচেয়ে বড় বিষয় নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছানো।ঈদে ঘরে ফেরা-শেষ কর্মদিবসে রাজধানী ছাড়ছে লাখো মানুষ
রাজশাহী ও চট্টগ্রাম আন্তনগর ট্রেনে এবার ছাদে খুব কম মানুষ দেখা গেলেও ভেতরে ছিল একেবারে ঠাসাঠাসি অবস্থা। রোববারের তুলনায় সোমবার ভিড় আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন যাত্রীরা। কারণ রোববার থেকে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে ছুটি শুরু হলেও মঙ্গলবার থেকে সারা দেশে সরকারি ছুটি শুরু হতে যাচ্ছে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানবাহন চলছে খুবই ধীরগতিতে। রোববার সকালে মেঘনা সেতু ও কাঁচপুর ব্রিজের বিভিন্ন পাশে গাড়ির দীর্ঘ লাইন দেখা যায়। কাঁপুর ব্রিজের পূর্ব পাশের ঢালে একটি সড়ক চলে গেছে চট্টগ্রাম মহাসড়কের দিকে, আরেকটি গেছে সিলেট মহাসড়কের দিকে। সেই দুই মহাসড়কের মোড়ে রোববার ভোর থেকেই যানবাহনের বিশাল জটলা রয়েছে।
কাঁচপুর ব্রিজ দুই লেনের এবং দুই পাশের সড়ক চার লেনের হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই এই স্থানটিতে সবসময়ই কমবেশি যানজট থাকে। ঈদ উপলক্ষে এর পরিমাণ বেড়েছে আরও বেশি। ঘরে ফেরা যাত্রীদের বেশিরভাগই ১৯ তারিখে টিকিট কাটায় রোববার থেকেই যানজট বেশি।
Leave a Reply