সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২৩ অপরাহ্ন
তানজিল জামান জয়,কলাপাড়া(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি।।ঈদের বাকি আর মাত্র দু’দিন। পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বিপনী বিতানগুলোতে এখনও প্রত্যাশা অনুযায়ী ঈদের কেনাকাটা জমে উঠেনি। কি কারনে ঈদের বাজার মন্দা অবস্থা তার সঠিক উত্তর কারোরই জানা নেই। তবে ধানের মূল্য কম থাকা এবং সাগর ও নদীতে মাছ ধরা ও আরোহন বন্ধের কারনে এমন অবস্থা হতে পারে বলে অনেক ব্যবসায়িরা ধারনা করছেন।
বিভিন্ন বিপনী বিতান গুলোতে ঘুরে দেখা যায়, কিছু বড় দোকানীরা ব্যস্ত সময় পার করলেও অনেকই অলস সময় পার করতে দেখা গেছে। প্রত্যাশা অনুযায়ী বেচা-বিক্রি না হওয়ায় আবার অনেক ব্যবসায়ির হতাশ হয়ে পরেছেন। অথচ ঈদের আর মাত্র দু-একদিন বাকী। বেচা-বিক্রি স্বাভাবিক হওয়ার আশাও ছেড়ে দিয়েছেন অনেক ব্যবসায়ীরা।
পৌর শহরের মুক্তিযোদ্ধা ভবনের সামনের ব্যবসায়ী মো. নুরুল ইসলাম জানান, গত বছরের তুলনায় এবার ব্যবসা খুবই খারাপ অবস্থা। যে মূলধন খাটিয়েছি তা ফিরে পাওয়াই এখন দুস্কর হয়ে পরেছে। অপর এক ব্যবসায়ি তামিম গাজীর দোকানে খদ্দের না থাকায় মোবাইলে গেম খেলতে দেখা যায়।
তার সাথে কথা হলে তিনি জানান, ঈদের মৌসুমে কেনা বেচা নাই। এখন বাজারের দুরহ অবস্থা চলছে। তবে কিছুটা আশার খবর জানান সুবর্ণা বস্ত্রালয়ের সত্ত্বাধীকারী মো.নাজমুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমাদের দোকানে কেনা বেচা আশানুরুপ হচ্ছে।
ইসলামীয়া বস্ত্রালয়ের মো.রফিকুল ইসলাম বলেন, পাঞ্জাবী সেলাই কারিগরদেরও অনেকেটা ব্যস্ত সময় কাটাতে দেখা যায়। অর্ডারেরও প্রচুর চাপ রয়েছে। আমরা কয়েকদিন আগ হতেই অর্ডার নেয়া বন্ধ করে দিয়েছি।
খান ফ্যাশনের সত্ত্বাধীকারী ও কলাপাড়া বন্দর ব্যবসায়ী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক বিল্লাল খান কাবুল জানান, ব্যবসা অবস্থা খুবই খারাপ যাচ্ছে। বিক্রির জন্য যে পন্য ক্রয় করেছিলাম তার সবই মজুদ রয়েছে। কারন হিসেবে ধানের কম মূল্য ও মৎস্য নির্ভর মানুষগুলোর মাছ ধরা বন্ধ থাকায় এ মন্দা অবস্থা হতে পারে বলে তিনি ধারনা করেন।
কলাপাড়া থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম জানান, কোন ধরনের অপ্রতিকর ঘটনা না ঘটে সে জন্য বিভিন্ন স্পটে আমাদের টহল জোরদার করা হয়েছে।
Leave a Reply