শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৮:৫৪ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক।। বন্যপ্রাণি নিধন রোধ এবং বেওয়ারিশ প্রানিদের উপর চলমান নৃশংসতা বন্ধ করে জনসাধারনের মধ্যে প্রাণীজগৎ রক্ষার গুরুত্ব বর্ননার মাধ্যমে জীব-বৈচিত্র রক্ষা করে একটি সুন্দর প্রকৃতী গড়ে তোলার মতো মজৎ উদ্দ্যেশ্যকে সামনে রেখে ২০১৯ সালের ২০শে ফেব্রুয়ারী এই সংগঠনের যাত্রা শুরু হয় ।
যেসকল উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছিঃ-
১. বাংলাদেশে বন্যপ্রাণী সংক্রান্ত সকল অপরাধ নির্মুল করার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের সহায়তা নিয়ে কাজ করা।
২. বেওয়ারিশ প্রাণীদের জন্য খাদ্য, চিকিৎসা, বাসস্থানের ব্যবস্থা করা।
৩. সাধারন মানুষের মধ্যে প্রাণীজগৎ সঙ্গরক্ষণের গুরুত্ব বর্ননা করে প্রাণীদের উপর চলমান নির্যাতন ও বিনা প্রয়োজনে প্রাণী হত্যার মতো জঘন্য কাজ থেকে তাদেরকে বিরত রাখা।
৪. শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রাণীজগৎ সম্পর্কিত শিক্ষা ছড়িয়ে দেয়া এবং একটি সচেতন প্রজন্ম গড়ে তোলা।
৫. বিলুপ্তপ্রায় প্রাণীদের রক্ষার জন্য অভয়ারন্য এবং তাদের উপযোগী পরিবেশ তৈরি করা।
৬. সর্বোপরি সকল ক্ষেত্রে প্রানীকল্যাণমূলক আইনের প্রয়োগ বাস্তবায়ন করা। সাংগঠনিক কাঠামোঃ দায়িত্বশীল – ৭ জন, নিবন্ধিত ভলান্টিয়ার – ১২০ জন, স্পেশাল রেসকিউ টিম – ২ টি, স্বেচ্ছাসেবক ভেট – ২ জন। সম্পাদিত কাজের পরিসংখ্যানঃ এখন পর্যন্ত মোট চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়েছে এমন প্রাণীর সংখ্যা – ১১১ টি। এর মধ্যে বেওয়ারিশ প্রাণী – ১০২ টি, বন্যপ্রাণী – ৯টি, বিলুপ্তপ্রায় বন্যপ্রাণী উদ্ধার করে অবমুক্ত করা হয়েছে – ৫ টি। সংগঠনের আর্থিক উৎসঃ সংগঠনের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত সমস্ত অর্থের যোগান আমাদের ভলান্টিয়ার এবং কিছু সাধারন মানুষ বহন করেছেন। সরকারি বেসরকারি বা কোনো সংস্থা থেকে এখন পর্যন্ত কোনো ফান্ডিং করা হয়নি। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের ভেটেরিনারি সার্জন ডাঃ মোঃ ইব্রাহীম খলিল বলেন- সকল প্রকার প্রাণির সেবা নিশ্চিতকল্পে অত্র দপ্তরের ডাক্তার হিসেবে আমি সর্বদা এরকম সংগঠনের পাশে রয়েছি এবং আমি নিজে গর্ববোধ করছি প্রাণির স্বার্থ রক্ষায় এদের সাথে কাজ করতে পেরে।আসলে আমাদের সকলকে মনে রাখতে হবে প্রাণীর ও প্রাণ রয়েছে,এদের ও মানুষের মত কষ্ট হয়। রাস্তায় কুকুর বিড়াল দেখে আঘাত করা দণ্ডনীয় অপরাধ,এদের জন্য কিছু করতে না পারি অন্তত মমতবোধটুকু আমাদের সকলের রাখা উচিত।
Leave a Reply