শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ০১:৫০ পূর্বাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট ॥ সরকার ৫ আগস্টকে ‘ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থান দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে দিনটি সরকারি ছুটি ঘোষণার পথে এগোচ্ছে। সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন। এই সিদ্ধান্তকে ঐতিহাসিক আন্দোলনের গুরুত্ব ও স্মৃতিকে জাতীয়ভাবে সংরক্ষণের অংশ হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
ফারুকী জানান, এই দিবসকে ঘিরে আগামী ১ জুলাই থেকে দেশজুড়ে শুরু হবে নানা সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক কর্মসূচি। বিশেষভাবে ১৪ জুলাই থেকে শুরু হবে মূল আয়োজন, যাতে নাটক, আলোকচিত্র প্রদর্শনী, আলোচনা সভা ও স্মৃতিচারণমূলক অনুষ্ঠান থাকবে। এর মাধ্যমে ঐতিহাসিক গণ-আন্দোলনের চেতনা এবং জনগণের ঐক্যকে নতুন প্রজন্মের কাছে উপস্থাপন করা হবে।
উপদেষ্টা পরিষদের আসন্ন বৈঠকে ৫ আগস্টকে জাতীয় দিবস হিসেবে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হবে বলে জানান ফারুকী। তিনি বলেন, “এই উদ্যোগ শুধু একটি দিনের স্মরণ নয়, বরং জাতির ইতিহাসকে জীবিত রাখার একটি প্রক্রিয়া।” তাঁর মতে, এটা নতুন ধারার ইতিহাস সংরক্ষণের যাত্রা।
ঘোষণার মধ্যে আরেকটি তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় ছিল বিটিভি ও বাংলাদেশ বেতারকে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরের পরিকল্পনা। এই উদ্যোগ বাস্তবায়নের জন্য রূপরেখা তৈরি করতে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে শিক্ষা উপদেষ্টা ড. সি আর আবরারকে। বিশ্লেষকদের মতে, এই পরিবর্তন শুধু গণমাধ্যমের স্বাধীনতাই নয়, বরং একটি সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল গঠনের বার্তা বহন করে।
ঘোষিত দিবসটি ঘিরে ইতোমধ্যে সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে ছাত্রসমাজের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা ছড়িয়ে পড়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে অনেকে মন্তব্য করছেন, এটি ইতিহাসের প্রতি জাতির দায়বদ্ধতার প্রতিফলন।
অনেকেই আশা করছেন, ৫ আগস্ট শুধু ছুটির দিন হয়ে থাকবে না, বরং তা জাতীয় চেতনা ও প্রেরণার প্রতীক হয়ে উঠবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এটি হবে সংগ্রামী ইতিহাসকে জানার এবং অনুপ্রাণিত হওয়ার দিন।
এই স্বীকৃতি দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে গণতান্ত্রিক সংগ্রাম ও জনগণের ভূমিকার গুরুত্বকে পুনরায় সামনে নিয়ে আসবে, যা একটি শক্তিশালী ও সচেতন জাতি গঠনে সহায়ক হবে।
Leave a Reply