শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১:১৬ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: জাতীয় শোক দিবস ও জাতীয় শোকের মাস আগষ্ট মাস।বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর জন্য এ মাসটি আলাদা গুরত্ব বহন করে। ১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগষ্ট ইতিহাসের নৃশংস ও মর্মস্পর্শী সেই রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের ৪০ বছর হতে চলেছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছাড়াও ঘাতকের বুলেটে নিহত হন তাঁর স্ত্রী বেগম ফজিলাতুননেসা মুজিব, ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু শেখ রাসেল, পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল, ভাই শেখ আবু নাসের, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, ভাগনে শেখ ফজলুল হক মণি, তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মণি এবং বঙ্গবন্ধুর জীবন বাঁচাতে ছুটে আসা কর্নেল জামিল।
দেশের বাইরে থাকায় ঘাতক চক্রের হাত থেকে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা।অথচ, এমন শোকের ও গুরুত্বপূর্ণ এমন মাসেই কিছু নব্য রাজনৈতিক, অতি রাজনৈতিক, বদ্ধ উন্মাদ দেখা যায় বিভিন্ন শ্রেনীর। সারা দেশেই নিয়মনীতি না জেনেই তৈরি হয় পোষ্টার,ফেস্টুন, বিলবোর্ড। কিছু লোক শোকের মাতন নয়, নিজের বিজ্ঞাপনসহ রীতিমত উৎসবে পরিনত করেন এ মাসকে। পোষ্টারে রাজনৈতিক কৌশলে শোক প্রকাশ নয়, নিজেকে নির্বোধ হিসেবে পরিচিতি করান সমাজে। তাদের শোক প্রচারনা অথবা শোকবার্তা সমন্ধে বিন্দুমাত্র জ্ঞান না থাকলেও হাজার হাজার পোষ্টার ছাপাচ্ছেন “ঈদের খুশির” মত।নির্বোধ সেই ব্যাক্তিদের পোষ্টারে থাকেন শহীদ পরিবার, বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্থানীয় আ’লীগ
;নেতা ; এমনকি নিজের ছবিও।
এমনটাই ঘটেছে বরিশালের এক নব্য, তথাকথিত রাজনৈতিক ও সমাজসেবক সালাউদ্দিন রিপনের ক্ষেত্রে। রিপন ১৫ ই আগষ্ট উপলক্ষে হাজার হাজার পোষ্টার ছাপিয়ে ইতিমধ্যে ছেয়ে ফেলেছে গোটা বরিশাল । অথচ পোষ্টারটি দেখে সকল ধরনের লোকজন তাকে ফেইসবুক ও বাস্তব জীবনে তিরস্কার করে ও সালাউদ্দিন রিপনের নির্বুদ্ধিতার নিন্দা জানান।
সালাউদ্দিন রিপন এর শোক পোষ্টারে নেই কোন শোকবার্তা। রয়েছে রঙ্গিন এ পোষ্টারে বঙ্গবন্ধুর ছবি,শহীদ সকলের ছবি,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি, দক্ষিণ বাংলার জননেতা মাননীয় মন্ত্রী আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর ছবি, বরিশাল সিটি কর্পোরেশন এর নবনির্বাচিত মেয়র(বেসরকারিভাবে) সাদিক আব্দুল্লাহর ছবি সহ নিজের ছবি ও তার ব্যাক্তিগত এন,জিও এর বিজ্ঞাপন।
এমন পোষ্টার বর্তমানে বরিশালের সকল সরকারি,বেসরকারি অফিসে,প্রতিষ্ঠানের দেয়ালে এটে দিয়েছে রিপনের কর্মীরা। পোষ্টার লাগানো হয়েছে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর স্থাপনার উপর নিয়মবহির্ভূতভাবে। এ নিয়ে শহরে ব্যাপক চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ও সর্ব মহলে তিরস্কৃত হয়েছেন নব্য এ ব্যাক্তি।এ বিষয়ে সালাউদ্দিন রিপন কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।কেউ কেউ বলছে ,রিপনের টাকা আছে , দানধ্যান করে, দুইশত টাকার শাড়ি দিয়ে পত্রিকায় তার কাভারেজ নেয় দুই হাজার টাকা খরচ করে, সে হাতেম তাইয়ের বেয়াই না, আগামীতে ইলেকশন করবে এই মর্মে। রোহান ভাই মারা যাবার পূর্বে আক্ষেপ করে বলেছেন রাজনীতি বিনা চালানের ব্যবসা।
রিপন ১৫ই আগষ্ট পর্যন্ত চালান বানিজ্য নিয়ে এসেছে। মানুষ অল্প শোকে কাতর থাকে, অধিক শোকে পাথর হয়ে যায়। শোক, শক্তি, উন্নয়ন, গনতন্ত্র কোন কিছুই তখন আর বিশেষিত থাকেনা। সেখানে সালাউদ্দিন রিপন কোন মর্মে তার এস আর সমাজকল্যানের বিজ্ঞাপন দেয় জাতীয় শোক দিবসকে পন্যের বিজ্ঞাপন বানিয়ে বিষয়টা সীমার, ইয়াজিদদেরও মাথায় ঢুকবেনা। বিভ্রান্তিমূলক জনমত, প্রচার একটা অপরাধ। অথচ সংশ্লিষ্ট প্রশাসন নির্বিকার।
Leave a Reply