রাত হলেই অন্ধকার নেমে আসে ভোলার হাসপাতালটিতে Latest Update News of Bangladesh

মঙ্গলবার, ১৮ জুন ২০২৪, ১২:২৫ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] অথবা [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




রাত হলেই অন্ধকার নেমে আসে ভোলার হাসপাতালটিতে

রাত হলেই অন্ধকার নেমে আসে ভোলার হাসপাতালটিতে

হাসপাতাল




ভোলা প্রতিনিধি॥ ভোলার মনপুরার দেড় লক্ষ মানুষের স্বাস্থ্য সেবার একমাত্র ৫০ শয্যার হাসপাতালটিতে রাত হলেই অন্ধকার নেমে আসে। গত ২৭ দিন ধরে রাতে বিদ্যুৎ নেই হাসপাতালটিতে। এতে করোনা রোগীসহ সাধারণ ওয়ার্ডের রোগীদের পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ।

 

 

এদিকে পাওয়ার হাউসের বিদ্যুৎ সরবরাহের মেশিনের যান্ত্রিক ত্রুটির জন্য শুধু হাসপাতাল নয় ভোগান্তিতে রয়েছে উপজেলার ৮ শত আবাসিক গ্রাহক। কোনো গ্রাহকই রাতের বেলা ১ ঘণ্টার বেশি বিদ্যুৎ পাচ্ছে না। তাই দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করে গ্রাহকসহ হাসপাতালের ভোগান্তি লাঘবে এমপি জ্যাকবের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন স্থানীয়রা।

 

 

আবাসিক প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) এর গাফলতির কারণে চরম দুর্ভোগে পোহাতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মাহমুদুর রশীদ জানান, ফোনে ও চিঠিতে একাধিকবার বিদ্যুতের প্রকৌশলীসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার পর আজ পর্যন্ত রাতের বেলায় হাসপাতালে বিদ্যুৎ সরবরাহ দিচ্ছে না।

 

 

এদিকে করোনা রোগী আবদুল মতিন, ব্যবসায়ী গ্রাহক সুমন, মামুন, হেলাল, মহিউদ্দিন, আবাসিক গ্রাহক বেলাল, সুমনদাস, শামসু, মতিনসহ অনেকে বলেন, রাতের বেলায় পাওয়ার হাউসের মাধ্যমে যে কারেন্ট পাই তা গত ২৭ দিন ধরে পাচ্ছি না। রাতের গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছি। রাতে বিদ্যুৎ না থাকায় ছেলে-মেয়েদের পড়ালেখা নষ্ট হচ্ছে। আমরা এমপি জ্যাকবের হস্তক্ষেপ কামনা করছি, তিনি যেন দ্রুত এই ব্যাপারে পদক্ষেপ নেন।

 

 

জানা গেছে, উপকূল ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচীর আওতায় ১৯৯১ সালে ৪০০ কিলোওয়াটের ২টি মেশিনের মাধ্যমে রাতের বেলায় উপজেলা পরিষদসহ বাজারে অল্প কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ দেয়া হয়। পরে সাবেক উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এমপির প্রচেষ্টায় এক মেগাওয়াটের ১টি এবং ৫০০ কিলোওয়াটের আরও ১টি মেশিন সংযুক্ত হলে বিদ্যুতের গ্রাহক সংখ্যা বাড়তে থাকে। পরে সন্ধ্যা থেকে বিরতিহীনভাবে রাত দেড়টা পর্যন্ত হাট-বাজার, আবাসিক ৮ শত গ্রাহক, হাসপাতাল, সরকারী-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বিদ্যুৎ সরবরাহ চলে।

 

 

এ ব্যাপারে মনপুরা উপজেলা আবাসিক প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) মো. নুরুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, করোনার জন্য নষ্ট হওয়া মেশিনের যন্ত্রপাতি আনতে দেরি হয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মেশিনের কাজ চলছে। জনবল আরও আসবে। চলতি মাসের মধ্যেই এ সমস্যার সমাধান হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

 

 

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিপুল চন্দ্র দাস জানান, বড় দুটি মেশিন নষ্ট হয়ে যাওয়ায় অনেকদিন ধরে বিদ্যুতের সমস্যা। বিষয়টি বিদ্যুতের আবাসিক প্রকৌশলীসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। এছাড়াও নষ্ট মেশিনের কাজ চলছে। দ্রুত বিদ্যুতের সমস্যা সমাধান হবে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD