বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:২৬ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার:
বরিশালের মুলাদিতে গৃহবধূকে গণধর্ষণের অভিযোগে ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ৪ সেপ্টেম্বর বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালে গণধর্ষণের শিকার গৃহবধূ নিজেই বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে তদন্তের আদেশ দেন।
মামলার আসামিরা হলেন, মুলাদির চরকমিশনার এলাকার আব্দুর রব হাওলাদারের ছেলে আব্বাস হাওলাদার, মান্নান বন্দুকছির ছেলে কামাল বন্দুকছি, আব্দুর রব হাওলাদারের ছেলে ইদ্রীস হাওলাদার, বছির হাওলাদার, কছির হাওলাদার।মামলার বরাত দিয়ে আদালতের বেঞ্চে সহকারী আজিবর রহমান দেশ দর্পণকে জানান, আসামি আব্বাস হাওলাদার বাদীকে বিভিন্ন সময় কু প্রস্তাব দিয়ে আসছে। আসামির কু প্রস্তাবে বাদী রাজি না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়। ২০১৭ সালের ১৮ জুন বাদীর বিবাহ হয়।
বাদীকে উঠিয়ে না নেয়ায় পিতার বাড়ি মুলাদিতেই বসবাস করেন।আসামির কু প্রস্তাব সম্পর্কে বাদীর পিতা সচেতন করে দিলে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওয়ে ওঠেন। এরপরে ২৭ আগস্ট বাদীর পিতাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।২৯ আগস্ট রাত ৮টায় বাদী প্রকৃতির ডাকে বাহিরে গেলে আব্বাস ও কামাল পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে। হাত বেধে মুখ চেপে ধরে প্রথমে ১নং আসামি আব্বাস হাওলাদার এবং পরে ২নং আসামি কালাম বন্দুকছি বাদিকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে।আব্বাস ও কামাল ধর্ষণ করে চলে গেলে ইদ্রীস হাওলাদার, বছির হাওলাদার ও কছির হাওলাদার ধর্ষণের চেষ্টা চালায়।
এ সময় ৫নং আসামী কছির হাওলাদারের হাতে কামড় দিলে আসামীরা পালিয়ে যায়।এরপরে মুখ খুলে ডাকচিৎকার দিলে অনান্য সাক্ষীরা চলে আসে। ওই দিন রাতে স্থানীয় চৌকিদার ও চেয়ারম্যানের কাছে গেলে রাত ১২টা পর্যন্ত অপেক্ষা করে বাড়িতে চলে আসে। পরের দিন সকাল ১০ টায় থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে থানা পুলিশ মামলা না নিয়ে আদালতের পরামর্শ দেয়। থানায় ওই সময় আসামিরা উপস্থিত ছিলেন।
৩১ আগস্ট থেকে ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সরকারি ছুটি থাকায় মামলা দায়ের করতে বিলম্ব হয়। আজ মঙ্গলবার ধর্ষকদের বিচার চেয়ে আদালতে মামলাটি দায়ের করেন ধর্ষিতা।
Leave a Reply