সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:১৬ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ আসন্ন রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, বিএনপিকে বারবার অনুরোধ করার পরও তারা নির্বাচনে আসেনি। নির্বাচনের মাঠে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ছিল, তারাও বরিশালের একটি ঘটনার অজুহাত দেখিয়ে নির্বাচন বর্জন করেছে। তারা বরিশালে ভেবেছিল- বিএনপি-জামায়াতের ভোট পেয়ে এবং আওয়ামী লীগের দ্বন্দ্বের কারণে জয়ী হবে। কিন্তু তারা জানত না যে, কঠিন সময়ে আওয়ামী লীগ এক হয়ে যায়। বরিশালে বিপুল ভোটে আওয়ামী লীগের বিজয় হয়েছে। তাই মুখ রক্ষার জন্য এখন তারা (ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ) নির্বাচন বর্জন করেছে। তারা নির্বাচন বর্জন করলেও তাদের মার্কাটা কিন্তু ইভিএমে থেকে যাবে। সেখানে তাদের সমর্থকরাও ভোট দেবে। এতে আমাদের কিছু যায় আসে না।
গতকাল বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত নগরীর ১৪ ও ১৫ নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ ও পথসভাকালে তিনি এসব কথা বলেন। প্রথমে নগরীর দড়িখরবনা রেললাইন সংলগ্ন মাঠে আয়োজিত পথসভায় বক্তব্য দেন মেয়রপ্রার্থী খায়রুজ্জামান লিটন। এরপর শালবাগান, উপশহর নিউমার্কেট ও ডাবতলার মোড়ে পথসভায় বক্তব্য রাখেন। পথসভায় বক্তৃতায় রাজশাহীর উন্নয়ন চলমান রাখতে ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার অনুরোধ জানান মেয়রপ্রার্থী তিনি।
পথসভায় মেয়রপ্রার্থী খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, রাজশাহী অবহেলিত ও পিছিয়ে পড়া জনপদ ছিল। ২০১৯ সালে রাজশাহীর উন্নয়নে দুই হাজার ৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই অর্থে যখন কাজ শুরু করব, তখন করোনা মহামারী সংক্রমণ দেখা হয়। তখন আমরা মানুষের জীবন বাঁচাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। করোনার সময়ে নগরবাসীকে দফায় দফায় খাদ্য ও নগদ অর্থ প্রদান করা হয়। বিনামূল্যে অক্সিজেন, ওষুধসহ সব সেবা দেয়া হয়। করোনার পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, নির্মাণসামগ্রী ও ডলার দাম বৃদ্ধি ইত্যাদি কারণে আড়াই বছর তেমন উন্নয়নকাজ করা সম্ভব হয়নি। দুই হাজার ৭০০ কোটি টাকার মধ্যে মাত্র এক হাজার ২০০ কোটি টাকার উন্নয়নকাজ করতে পেরেছি। আরো এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। আমি নির্বাচিত হলে এর সাথে আরো তিন হাজার কোটি টাকার অর্থ বরাদ্দ আনতে চাই। আগামীতে রাজশাহীতে পাঁচ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন করতে চাই।
তিনি বলেন, ভারতের মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান থেকে গোদাগাড়ীর সুলতানগঞ্জ হয়ে আরিচা পর্যন্ত নৌরুট চালু করতে চাই। এটি চালু হলে ভারত থেকে পাথর, ফ্লাই অ্যাশসহ প্রয়োজনীয় পণ্য আনা যাবে। রাজশাহীতে উৎপাদিত পণ্য রফতানি করা যাবে। এতে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও অনেক কর্মসংস্থান হবে।
তিনি আরো বলেন, রাজশাহী সিটির আয়তন প্রায় চারগুণ বৃদ্ধি করা হবে। বর্তমান ৯৬ বর্গকিলোমিটার থেকে ৩৫০ বর্গকিলোমিটার সম্প্রসারণ করা হবে। আমাদের শহরের পাশের এলাকার মানুষ উন্নত সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত থাকবে, এটি উচিত হবে না। প্রধানমন্ত্রীর গত নির্বাচনে স্লোগান ছিল ‘আমার গ্রাম, আমার শহর’। সেই স্লোগানকে ধারণ করে সম্প্রসারিত এলাকায় রাস্তা, ড্রেন নির্মাণসহ উন্নত নাগরিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হবে।
পথসভায় উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ আলী কামাল, সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা প্রমুখ।
Leave a Reply