শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০:৫৬ পূর্বাহ্ন
মো. সুজন মোল্লা,বানারীপাড়া(বরিশাল) থেকে : বানারীপাড়ায় প্রথম পাকহানাদার বাহিনীকে নিয়ে এসে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় সার্বজনীন হরিসভা মন্দিরে সভা করে পিস কমিটি গঠন করায় বানারীপাড়া-স্বরূপকাঠি আসনের বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক হুইপ সৈয়দ শহীদুল হক জামালের যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার দাবী করেছেন মুক্তিযোদ্ধারা। তবে মুক্তিযুদ্ধকালীন সময় বানারীপাড়া বন্দর বাজারে কারা লুটতরাজ চালিয়েছিলো সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এমন প্রশ্ন করা হলে সভা থেকে তার কোন উত্তর পাওয়া যায়নি।
বুধবার বেলা ১১টায় বানারীপাড়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদে অনুষ্ঠিত মুক্তিযোদ্ধাদের মতবিনিময় সভায় তারা এ দাবী জানান। মুক্তিযুদ্ধকালীণ বেজ কমান্ডার বেণী লাল দাস গুপ্ত বেণুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় অতিথি ছিলেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার কেএসএ মহিউদ্দিন মানিক বীর প্রতীক ও মুক্তিযুদ্ধকালীণ বানারীপাড়া থানা ফিল্ড কমান্ডার কাজী হায়দার আলী।
এছাড়াও বক্তৃতা করেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক সহকারী কমান্ডার মীর সাইদুর রহমান শাহজাহান,বানারীপাড়া সদর ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আইনুল হক,বাইশারী ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার জগন্নাথ,উদয়কাঠি ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শাহ আলম,চাখার ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সুলতান হোসেন,সৈয়দকাঠি ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার রফিকুল ইসলাম,সলিয়াবাকপুর ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হাবিবুর রহমান ও ইলুহার ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মাষ্টার আ,সালাম,মুক্তিযোদ্ধা আ.লতিফ সরদার,আ.জলিল,ইসমাইল রাড়ী প্রমুখ।
সভায় জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার কেএসএ মহিউদ্দিন মানিক বীর ,মুক্তিযুদ্ধকালীণ বেজ কমান্ডার বেণী লাল দাস গুপ্ত বেণু ও মুক্তিযুদ্ধকালীণ থানা ফিল্ড কমান্ডার আলহাজ্ব কাজী হায়দার আলী তাদের বক্তৃতায় বলেন ১৯৭১ সালে সৈয়দ শহীদুল হক জামাল সর্বপ্রথম বানারীপাড়ায় পাকহানাদার বাহিনী নিয়ে এসে বন্দর বাজারের হরিসভা মন্দিরে বসে তার ভগ্নিপতি আলী মিয়াকে সভাপতি ও আ.রব হাফেজকে সাধারণ সম্পাদক করে উপজেলা পিস কমিটি গঠন করেন।
ঢাকার বাসায় স্ত্রী-সন্তানদের রেখে যুদ্ধের পুরো ৯ মাস শহীদুল হক জামাল বরিশালে অবস্থান করে নেপথ্যে থেকে পাকবাহিনীকে নেতৃত্ব দেন। এর ফলে পাকবাহিনী ও রাজাকার আলবদর আলশামসরা বানারীপাড়ার গাভা নরেকাঠি ও তালাপ্রসাদে গণহত্যা,বন্দর বাজারে অগ্নিসংযোগ,স্বরূপকাঠির সংখ্যালঘু অধ্যুষিত আটঘর-কুড়িয়ানা এলাকায় পেয়াবাগান কেটে ফেলা,লুটপাট,ধর্ষণ,হত্যা ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে ব্যপক ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। এসব কারণে যুদ্ধাপরাধের বিচার ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে তদন্তপূর্ব সৈয়দ শহীদুল হক জামাল সহ অন্যান্য রাজাকারদের বিচার হওয়া উচিত বলে তারা মন্তব্য করেন। এসময় সভায় উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধারাও একই দাবী জানান।
Leave a Reply