বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪২ পূর্বাহ্ন
এইচ, এম হেলাল॥ বরিশাল নগরীতে কিছু দিন আগেও শপিংমলসহ বেশ কিছু অনুমতি ছাড়া দোকান গুলো খোলা ছিলো। করোনা ঝুঁকির কারণে চকবাজার ব্যবসায়ী মালিক কল্যাণ সমিতি সদস্যরা দোকান-ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন।
লকডাউন মেনে চলতে হবে তা না হলে করোনাভাইরাসের আক্রমণ রোখা যাবে না। কিন্তু বিউটি পার্লার খোলার অনুমতি মেলেনি। ফলে আর্থিক সমস্যায় পড়েছেন পার্লারের কাজে যুক্ত হওয়া নগরীর অলি গলির মহিলারা। বিউটি পার্লারের কর্মীরা বলেন, নগরীতে এক সময়ে পার্লারের এতটা চল ছিল না। তবে এখন বেশির ভাগ পরিবারের মহিলারা রূপচর্চার প্রতি অনেক বেশি আগ্রহী এবং পার্লারে আসেন।
সে কারণে নগরীর বহু মহিলা কাজের প্রশিক্ষন নিয়ে পেশা হিসাবে বেছে নিয়েছেন। অনেকের কাছে এটাই একমাত্র আয়ের পথ। লকডাউনে পার্লার না-খোলায় সমস্যায় পড়েছেন সেই সব মহিলারা।
নগরীর রাজ্জাক খান সড়ক বাঘিয়া এলাকার ওমেন্স ওয়ার্ল্ড হারবাল বিউটি পার্লার মালিক মিসকাত জাহান পপি ভয়েস অব বরিশালকে বলেন, লকডাউনের শুরু থেকেই পার্লার বন্ধ। ফেসিয়াল, ভ্রু কিংবা চুল কাটা ছাড়াও বিভিন্ন কাজের জন্য প্রতিদিন ভিড় লেগে থাকত। পার্লারের কাজের পাশাপাশি অনুষ্ঠান বাড়িতে বিশেষ করে কনে সাজানো ও অন্যদের সাজিয়ে ভালো আয় হতো। মেয়েরা কাজের প্রশিক্ষণও নিতেন।
লকডাউনে বন্ধ থাকায় আয় নেই সবাই এখন বাড়িতে বসে বসে দিন কাটান। অনেকের সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। “পার্লারে আমি ছাড়াও ৩ জন কর্মী কাজ করেন এবং সেই আয়ে তাঁদের সংসার চলে। প্রতি মাসে পার্লারের ঘর ভাড়া, বিদ্যুৎ বিল দিতে হয়। কবে নাগাত সমস্যার সমাধান হবে তা জানা নেই আমার।
নগরীর ২৯নং ওয়ার্ডের লুৎফর রহমান সড়কে আর এস বিউটি পার্লারের মালিক বৃষ্টি ভয়েস অব বরিশালকে বলেন, দু’মাসে এক পয়সা আয় রোজগার না থাকায় ঘরের টাকা থেকে দোকানের ভাড়া মেটাতে হচ্ছে।
পার্লার কর্মী সোনিয়া ভয়েস অব বরিশালকে বলেন,পার্লারের রোজগার ও স্বামীর রোজগারের মিলিয়ে সংসার চলে। লকডাউনের কারনে তার স্বামীর গাড়ি বন্ধ তেমনই পার্লারের কাজও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। একই সঙ্গে পরিবারের দু’জন কাজ হারানোয় সমস্যার মধ্যে দিন কাটছে।
Leave a Reply