মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারী ২০২৫, ০৭:১২ পূর্বাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ আশুলিয়ায় এক ব্যবসায়ীকে ফাঁদে ফেলে মারধরের পর নগ্ন ভিডিও ধারণ করে মুক্তিপণ দাবি করায় এক নারী ও কথিত ৩ সাংবাদিকসহ সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল দুপুরে গ্রেপ্তারকৃতদের আশুলিয়া থানা থেকে ঢাকা আদালতে পাঠানো হয়। এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে আশুলিয়ার উত্তর গাজিরচট এলাকার রিপন ভূঁইয়ার মালিকানাধীন ফ্ল্যাট বাসা থেকে তাদের আটক করা হয়।
এ সময় ভুক্তভোগী যুবককেও উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী যুবক ঢাকার ধামরাই থানার দক্ষিণপাড়া থানা রোড এলাকার মো. মান্নানের ছেলে সুমন রেজা (২৭) বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। তিনি পড়াশোনা শেষ করে পারিবারিক ব্যবসা দেখাশোনা করছেন। গ্রেপ্তাকৃতরা হলো- যশোর জেলার বাগারপাড়া থানার ঠাকুরকাঠি গ্রামের জালাল বিশ্বাসের ছেলে তরিকুল ইসলাম তারেক (৩৬), চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলার সদর থানার চাদলা গ্রামের মৃত শাজাহান আলীর ছেলে আব্দুল কাদের (৩৩), বরিশাল জেলার মুলাদী থানার বাহেরচর গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে মো. শাহ আলম (৩৮) ও ভোলা জেলার মনপুরা থানার চরজতিন গ্রামের কামাল উদ্দিনের মেয়ে শারমিন নাহার (৩০)। এদের মধ্যে নারী ছাড়া অন্যরা নিজেদের সাংবাদিক পরিচয় দেন। থানা পুলিশ ও মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকালে নিজের প্রতিবন্ধী সন্তানের জন্য সাহায্য চেয়ে ব্যবসায়ী সুমন রেজাকে কৌশলে আশুলিয়ার উত্তর গাজীরচট এলাকার জনৈক রিপন ভূঁইয়ার ৩ তলা বাড়ির ভাড়াকৃত নিজ ফ্ল্যাটে ডেকে নিয়ে যান শারমিন নাহার। পরে সেখানে উপস্থিত হয় গ্রেপ্তার হওয়া ৩ সহযোগী।
এ সময় ঘরে ঢুকেই তারা অবৈধ সম্পর্কের কথা বলে সুমনকে আটকে রেখে মারধর করতে থাকে। একপর্যায়ে তার কাছে থাকা টাকা লুট করে এবং জোরপূর্বক নগ্ন ভিডিও ধারণ করে। পরে ভিডিও ভাইরাল করার ভয় দেখিয়ে আরও ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন কথিত সাংবাদিকরা। এঘটনায় ভুক্তভোগী যুবক টাকার জন্য পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে পরিবার বিষয়টি বুঝতে পেরে পুলিশকে জানায়। পরে পুলিশের সহযোগিতায় ভুক্তভোগী সুমনকে উদ্ধার করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) আবুল হাসান বলেন, অভিযানের সময় গ্রেপ্তারকৃত ৩ জন নিজেদের সাংবাদিক পরিচয় দেয়। কিন্তু মূলত তারা ৪ জনই সঙ্গবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তাদের মোবাইল ফোনে ভুক্তভোগীর নগ্ন ভিডিও পাওয়া গেছে। সাংবাদিক পরিচয়ে মানুষকে ফাঁদে ফেলে টাকা আদায়সহ বিভিন্ন অপকর্ম করাই তাদের পেশা। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী সুমন রেজা। এ ছাড়া আসামিদের কাছ থেকে ৩টি মোবাইল ফোন জব্দসহ ভুক্তভোগীর লুট হওয়া টাকাও উদ্ধার করা হয়েছে।
Leave a Reply