সোমবার, ১৭ জুন ২০২৪, ১১:২৮ অপরাহ্ন
শামীম আহমেদ॥ উদ্বোধনের দুই বছর পার না হতেই বরিশাল সদর উপজেলার চরমোনাই ইউপির বিশ্বাসের হাটের ২০০ মিটার গার্ডার সেতু দিয়ে চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। সেতুর দুইপাশের সংযোগ সড়ক ধসে বড় বড় খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। এতে অচিরেই সেতুটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আশংকা করছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা জানায়, সদর উপজেলার সবগুলো ইউপির চলাচলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সেতুটি এরইমধ্যে একাধিকবার মেরামত করা হয়েছে। প্রতিদিন কমপক্ষে ২০ হাজার মানুষ এ সেতু দিয়ে চলাচল করে। এ কারণে সেতুটি স্থায়ীভাবে মেরামতের জন্য এলজিইডিতে বারবার আবেদন করা হচ্ছে। কিন্তু এখনো কোনো নেয়া হয়নি।
এলজিইডি কর্মকর্তাদের দাবি- সেতুটি ও সংযোগ সড়ক নির্মাণের জন্য বরাদ্দ ছিল খুবই কম। বাজেটের মধ্যে কাজ শেষ করায় শতভাগ মান রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। সেতুটি মানসম্মতভাবে মেরামতের জন্য তৎপরতা চলছে।
জানা গেছে, ২০১৪ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি বিশ্বাসের হাট এলাকার পণ্ডিত বাড়ি-পাটনী বাড়ি সড়কের কড়ই তলা নদীর ওপর নির্মাণ করা হয় ২০০ মিটার দীর্ঘ পিসি গার্ডার সেতু। ১৯ কোটি ৯১ লাখ ৭০ হাজার ৯১৯ টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মাণ করে কহিনুর এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন বরিশাল-৫ আসনের সাবেক এমপি শওকত হোসেন হিরন। এলজিইডির জিবিপি প্রকল্পের আওতায় নির্মিত সেতুটি ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বর্ষা মৌসুমে সেতু থেকে নেমে আসা বৃষ্টির পানিতে সংযোগ সড়কের নিচের বালু নিচে সরে গেছে। এতে সেতুর দুই পাশের সড়কে সৃষ্টি হয় বড় বড় খানাখন্দের। দীর্ঘদিন মেরামত না করায় সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ ও চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে।
চরমোনাই ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ ইসহাক মোহাম্মদ আবুল খায়ের বলেন, এত অল্প সময়ে গুরুত্বপূর্ণ সেতুটির এমন অবস্থা হওয়া দুঃখজনক। জনগণের কথা চিন্তা করে ব্যক্তিগতভাবে সেতু ও সংযোগ সড়ক মেরামতের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
এলজিইডি বরিশালের নির্বাহী প্রকৌশলী শরীফ মো. জামাল উদ্দিন জানান, ক্ষতিগ্রস্ত সেতু পরিদর্শন করা হয়েছে। ঠিকাদার মানসম্মত কাজ না করায় এ অবস্থা হয়েছে। সেতু ও সংযোগ সড়ক মেরামতে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply