ঈদকে সামনে রেখে বরিশালে দালালরা নিয়ন্ত্রণ করে লঞ্চের কেবিন ! Latest Update News of Bangladesh

মঙ্গলবার, ১৮ জুন ২০২৪, ০৫:১০ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] অথবা [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




ঈদকে সামনে রেখে বরিশালে দালালরা নিয়ন্ত্রণ করে লঞ্চের কেবিন !

ঈদকে সামনে রেখে বরিশালে দালালরা নিয়ন্ত্রণ করে লঞ্চের কেবিন !




নিজস্ব প্রতিবেদক ॥   বরিশাল-ঢাকা রুটে চলাচলকারী লঞ্চপ্রতিবছর দুই ঈদকে সামনে রেখে বরিশাল-ঢাকা নৌরুটে অত্যাধুনিক ও বিশালাকারের নতুন লঞ্চ যুক্ত হয়। এ ধারাবাহিকতায় এবারও বহরে যোগ হয়েছে মানামি এবং অ্যাডভেঞ্চার-৫ নামের দুটি লঞ্চ। লঞ্চের সঙ্গে বেড়েছে কেবিনের সংখ্যাও।

তবু সাধারণ যাত্রীদের কাছে এসব কেবিনের টিকিট পরিণত হয়েছে সোনার হরিণে। লঞ্চ পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে কেবিনের টিকিট দেওয়ার কথা থাকলেও, তা চড়াদামে কালোবাজারিদের থেকে সংগ্রহ করতে হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

উচ্চমূল্যে সে সব টিকিট সংগ্রহ করে বাড়ি ফেরা ও ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফিরতে হচ্ছে যাত্রীদের। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দক্ষিণাঞ্চলের ছয় জেলাসহ মাদারীপুর, শরীয়তপুর, চাঁদপুর ও বাগেরহাট রুটে দিনে ও রাতে সারা বছর চলাচল করে দেড় শতাধিক ছোট-বড় লঞ্চ।

এবারের ঈদে নতুন-পুরাতন মিলিয়ে দুই শতাধিক লঞ্চ চলাচল করবে। বহরে যোগ দেওয়া মানামি ও অ্যাডভেঞ্চার-৫ এর সঙ্গে আরও থাকবে বিলাসবহুল ও লিফটযুক্ত সুন্দরবন-১০, সুরভী-৯, কীর্তনখোলা-২, লিফটযুক্ত কীর্তনখোলা-১০, লিফটযুক্ত অ্যাডভেঞ্চার-৯, অ্যাডভেঞ্চার-১, পারাবত-১২, ফারহান-৮ ও টিপু-৭সহ ২৩টি লঞ্চ। এসব লঞ্চে সিঙ্গেল, ডাবল, ভিভিআইপি, ভিআইপি, সেমিভিআইপি, সৌখিন ও ফ্যামিলি ক্যাটাগরিতে দুই হাজারের বেশি কেবিন রয়েছে।

রমজান শুরুর পর থেকেই সাধারণ যাত্রী ও তাদের স্বজনরা এসব কেবিন পেতে লঞ্চের অফিসগুলোতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেন। ওই সময় তাদের কাছ থেকে স্লিপ জমা রাখা হয়। তবে নির্ধারিত সময়ে তাদের নামে কোনও কেবিন থাকে না বলে অভিযোগ রয়েছে। কেবিনের খাতায় নাম থাকে প্রভাবশালী ব্যক্তির ও মালিক পক্ষের লোকজনের।

এ কারণে, প্রতিবছর ঈদ মৌসুমে প্রভাবশালী ব্যক্তি অথবা লঞ্চ মালিক পক্ষের লোকজনের মাধ্যমে কেবিন নিতে হয় সাধারণ যাত্রীদের। বাড়ি ফেরার নানা ঝক্কির সঙ্গে যোগ হয় টিকিট পাওয়ার জন্য লবিংয়ের ঝক্কি। আর যাদের প্রভাবশালীদের সঙ্গে পরিচয় নেই, তাদের ভরসা কালোবাজারের দালাল চক্র।

যাত্রীরা বলছেন, কাউন্টারগুলোতে টিকিট না পাওয়া গেলেও বরিশাল নদীবন্দরে অতিরিক্ত ৫০০ থেকে এক হাজার টাকা দিলেই দালালদের কাছে পাওয়া যায় কেবিনের টিকিট। বরিশাল-ঢাকা রুটের বহরে যোগ হওয়া মানামি লঞ্চের ম্যানেজার বলেন, ‘প্রয়োজনের তুলনায় কেবিন কম হওয়ায় কেউ কেউ কেবিনের টিকিট না পেয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। আমরা প্রকৃত যাত্রীদের হাতে টিকিট দিতে আগে থেকেই নানা ব্যবস্থা নিয়েছি।

এমভি কীর্তনখোলা লঞ্চ কোম্পানির ম্যানেজার মো. বেল¬াল হেসেন জানান, আগে আসলে আগে পাবেন ভিত্তিতে কেবিনের টিকিট ছাড়া হয়। পরে এসে টিকিট না পেয়ে অনেকে ক্ষুব্ধ হয়ে নানা অভিযোগ করেন। এ বিষয়ে লঞ্চ মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মো. সাইদুর রহমান রিন্টু বলেন, ‘ঘরমুখো অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ সামলাতে ঈদের তিন দিন আগে থেকে ডবল ট্রিপের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

সর্বোচ্চ যাত্রীসেবা দিতে আমাদের আন্তরিকতার কোনও কমতি থাকবে না।’ এদিকে, ঈদে ঘরে ফেরা মানুষের যাতায়াত নির্বিঘ্ন এবং শান্তিপূর্ণ করতে যথাযথ প্রস্তুতির কথা জানিয়েছে বিআইডবি¬উটিএ। বরিশাল বিআইডবি¬উটিএ-র নৌ নিরাপত্তা বিভাগের উপ-পরিচালক আজমল হুদা মিঠু বলেন, ‘সার্ভে সনদ এবং ফিটনেস নিয়েই এবারের ঈদে দিনে এবং রাতে বরিশাল-ঢাকা রুটে যাত্রী পরিবহন করবে অত্যাধুনিক ২৩টি জাহাজ।

ফিটনেস এবং সনদ ছাড়া কোনও নৌযান চলাচল করতে দেওয়া হবে না।’ কেবিনের টিকিটের কালোবাজারির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘লঞ্চ মালিকদের ই-টিকেটিং ব্যবস্থা চালুর জন্য বলা হয়েছে। এ ব্যবস্থা চালু হলে কালোবাজারি থাকবে না। সাধারণ যাত্রীরা সহজে কেবিন পাবেন।

জানা গেছে, এবার বেসরকারি ও ব্যক্তি মালিকানাধীন ছাড়াও ঢাকা-বরিশাল-মোড়েলগঞ্জ রুটে বিআইডবি¬উটিসি’র ছয়টি স্টিমার ও জাহাজ যাত্রী পরিবহন করবে।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD