' আহা 'হাসপাতালের বিছানায় ঘুমাচ্ছে বিড়াল Latest Update News of Bangladesh

মঙ্গলবার, ১৮ জুন ২০২৪, ০১:০৯ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] অথবা [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




‘ আহা ‘হাসপাতালের বিছানায় ঘুমাচ্ছে বিড়াল

‘ আহা ‘হাসপাতালের বিছানায় ঘুমাচ্ছে বিড়াল




ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ করোনাভাইরাস আক্রান্ত হতে পারে এমন আশঙ্কায় মাদারীপুরের হাসপাতালগুলোতে কমে গেছে রোগীর সংখ্যা। একশ শয্যার সদর হাসপাতালের প্রায় সব শয্যা এখন ফাঁকা। রোগীও নেই, নেই দশনার্থীর ভিড়। এদিকে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে এমন শঙ্কায় কমে গেছে লোকজনের সমাগম। একসপ্তাহ আগেও যে হাসপতালে রোগীর সমাগম ছিল সেখানে ফাঁকা হাসপাতালে একটি বিড়াল ঘুমাচ্ছে।

শুক্রবার (২৭ মার্চ) বেলা ১০টার দিকে সরেজমিন মাদারীপুর সদর হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, রোগী না থাকায় জরুরী বিভাগে নেই চিকিৎসক। নার্স ও চিকিৎসকের সহকারী তিন জন বসে আছেন জরুরী বিভাগে। রোগীদের কোন আনাগোনাও নেই। দর্শনার্থীদের দেখাও মেলেনি। নিচতলায় শিশু ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা মেলেনি কোন রোগী তবে এখন শিশু ওয়ার্ড ফাঁকা থাকলেও একেটি বেডে বিড়াল শান্তির ঘুম ঘুমাচ্ছে। মহিলা ওয়ার্ডে মাত্র ৩জন রোগী। দ্বিতীয় তলায় পুরুষ ওয়ার্ড ফাঁকা।

তবে তৃতীয় তলার লেবার ওয়ার্ডে রয়েছেন কয়েকজন রোগী। চিকিৎসকের কোন দেখা না পেলেও নার্সরা রোগীদের দেখাশোনা ও চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। জানতে চাইলে মহিলা ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকা হাসপাতালের একজন জ্যেষ্ঠ নার্স বলেন, গত তিনদিন ধরে করোনার আতঙ্কে রোগী ক্রমশই কমে যাচ্ছে। তাই চিকিৎসও তেমন নেই। চিকিৎসকরা সকালে এসে ঘুরে গেছে। তিনি আরও বলেন, মহিলা ওয়ার্ডের শয্যা ২২টি। গত ১০দিন আগেও রোগীদের জায়গা দিতে আমাদের হিমশিম খেতে হত। এখন ৩ জন রোগী মাত্র। এছাড়াও সার্জরী ওয়ার্ড এখন পুরোটাই ফাঁকা।

হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে ঠান্ডা জনিত রোগ নিয়ে ভর্তি হওয়া একজন রোগীর মা বলেন, আমি তিনদিন ছিলাম আর পুরো শিশু ওয়ার্ডে আমি একাই ছিলাম , হাসপাতালে শুনশান নিরবতা। কোন হইচই নেই। লোকের সমাগম নেই। এ কারণে অনেকটা ভয় হয়। তাই হাসপাতাল ছেড়ে চলে এসেছি। তবে নার্সরা আমাদের দেখাশুনা করছেন ।

মাদারীপুর সদর হাসপাতাল সূত্র জানায়, গড়ে প্রতিদিন দেড়শ থেকে দুইশ রোগী ভর্তি থাকে মাদারীপুর সদর হাসপাতলে। সেখানে বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত ছিল মাত্র নামে মাত্র কয়েজ জন। এছাড়া এসব রোগীর দর্শনার্থীও আসছেন না হাসপাতালে। করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে এমন আশঙ্কায় কমে গেছে লোকজনের সমাগম।

চিকিৎসকরা বলছেন, করোনা ভাইরাস ছড়াতে পারে এমন আশঙ্কায় মাদারীপুর জেলাকে ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছে স্বাস্থ্য বিভাগ। পাশাপাশি দেশ ও পরিবারের স্বার্থে বিদেশ ফেরত প্রত্যেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ১৪ দিন নিজ বাড়িতে কোয়ারেন্টিন থাকতে হবে। তাহলে এ ভাইরাসটি মহামারি আকার ধারণ করবে না।

জানতে চাইলে মাদারীপুর সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা অখিল সরকার বলেন, সামান্য সর্দি, কাঁশি, জ্বর হলেও সাধারণ মানুষ হাসপাতালগুলোতে ছুটে আসছেন। এতে করোনা ভাইরাস আতঙ্কে অন্যরোগীদের মারাত্মক সমস্যা হচ্ছে। এ কথা বিবেচনা করে এ ধরণের রোগীদের মোবাইল ফোনে স্বাস্থ্যসেবা ও পরামর্শ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এতে একদিকে রোগীদের যেমন সময় বাঁচবে, তেমনই করোনা ভাইরাস ছড়ানোর ঝুঁকিও কম থাকবে। তাই যে কোন স্বাস্থ্যগত পরামর্শের জন্য (০১৯১৪০৯৩৯৪১) এ নম্বরে ২৪ ঘণ্টা যোগাযোগ করতে অনুরোধ রইলো প্রয়োজনে গুরতর রোগীদের ভর্তিও করা হচ্ছে। বর্তমান পরিস্থিতে রোগীরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসছে না।

শুক্রবার পর্যন্ত মাদারীপুরে হোম কোয়ারেন্টিনে ছিল ১৩৫০ জন এবং হাসপাতালের কোয়ারেন্টিনে ছিল ৩ জন। সদর হাসপাতালের আইসলেশনে ছিল ৩ জন। শুক্রবার সকালে হাসপাতালের কোয়ারেন্টিনে থাকা ৩ জন রিলিজ নিয়েছে এবং সদর হাসপাতালের আইসলেশনে থাকা ৩ জনের ২ জন রিলিজ হয়েছে। এখন আইসলেশনে আছে ১ জন। এ পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টিন থেকে রিলিজ পেয়েছেন ৮৪৮ জন। বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টিনে আছে ৫০৫ জন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা সিভিল সার্জন অফিস।

জানতে চাইলে মাদারীপুরের সির্ভিল সার্জন মো. সফিকুল ইসলাম বলেন , বর্তমানে খুবই করোনার ঝুঁকিতে রয়েছে মাদারীপুর। তাই সদর হাসপাতাল ছাড়াও বেসরকারি হাসপাতালড়গুলোতে রোগীরা ভর্তি হচ্ছেন না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে আমরা দিনরাত কাজ করছি।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD