বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩১ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ সপ্তাহের ব্যবধানে আরো বেড়েছে সবজির দাম। প্রায় সব ধরনের সবজির দামই কেজি প্রতি ৫-১০ টাকা বেড়ে গেছে। বিক্রেতারা বলছেন, গত কয়েকদিন দেশের বিভিন্ন স্থানে টানা বৃষ্টির কারণে সবজি নষ্ট হয়ে গেছে। ঢাকায় পর্যাপ্ত পরিমাণে সবজি আসতে পারছে না, তাই দাম কিছুটা বেড়ে গেছে।
গত সপ্তাহে কমে যাওয়া পেঁয়াজ, রসুন ও আদার দামও কেজিতে ১০-২০ টাকা বেড়েছে। বেড়েছে মাছ ও মুরগির দামও। শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদের পর প্রথম দিকে সবজি চাহিদা কম ছিল। তবে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটি তুলে নেয়ার পর থেকেই সবজির দাম বাড়তে থাকে। কয়েক দফা দাম বেড়ে এখন বেশিরভাগ সবজির কেজি ৫০ টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে। আর ক্রেতারা বলছেন, এখন গ্রীষ্মকালীন সবজির ভরা মৌসুম। বাজারে সবজির কোন ঘাটতি নেই। বিক্রেতারা কারসাজি করেই সবকিছুর দাম বাড়িয়েছেন।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা। বরবটির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০- ৮০ টাকা। এছাড়া চিচিঙ্গা ৫০-৬০ টাকা, পেঁপে, ঝিঙা ও পটল ৫০-৬০ টাকা, করলা ৬০-৭০ টাকা, কচুর লতি ৫০-৬০ টাকা, কচুর মুখী ৬০-৭০ টাকা, কাকরোল ৬০-৭০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০-৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আলুর দাম আরও বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩২-৩৫ টাকা কেজি। এছাড়া প্রতিকেজি গাজর ৮০-৯০ টাকা, টমেটো ৬০-৭০ টাকা ও শসা ৫০-৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
উত্তরা ৬ নম্বর কাঁচা বাজারের সবজি বিক্রেতা মহসিন আলী বলেন, পাইকারি আড়তে সবজির সরবরাহ অনেক কম। বৃষ্টির কারণে অনেক সবজি খেতে নষ্ট হয়ে গেছে। আর যা আছে সেটাও বৃষ্টির কারণে ঠিকমতো ঢাকায় আসতে পারছে না। পাইকারিতে বেশি দামে সবজি কিনতে হচ্ছে। তাই বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে।
তার কথার প্রতিবাদ করেন সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা মঈনুল ইসলাম নামের এক ক্রেতা। তিনি বলেন, বাজারে কোনো সবজিরই ঘাটতি নেই। পরিবহন ব্যবস্থাও এখন সচল রয়েছে। আর সবজি নষ্ট হওয়ার মতো বৃষ্টিও হয়নি। এই সব ব্যবসায়ীরা সব অতি মুনাফালোভী। তারা সব সময়ই সুযোগ খোঁজে। তাদের ছুঁতোর কোনো অভাব নেই। এদেরকে আইনের আওতায় আনতে পারলেই জনগণ কারসাজিকারীদের হাত থেকে মুক্তি পাবে।
সবজির পাশাপাশি পেঁয়াজ, রসুন ও আদার দামও কিছুটা বেড়েছে। দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫- ৫০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৪০-৪৫ টাকা। দেশি রসুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৪০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ১০০-১২০ টাকার মধ্যে ছিল। আদা ১৫০-১৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ১২০- ১৫০ টাকার মধ্যে।
এদিকে, চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে মুরগি, গরু ও খাসির মাংস। ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৬০- ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লাল লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০-২৩০ টাকা। পাকিস্তানি কক মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৪০-২৬০ টাকা কেজি। দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৪৫০-৫০০ টাকা কেজি। গরুর মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৮০-৬০০ টাকা। আর খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০০-৮৫০ টাকা।
ডিমের দাম নতুন করে না বাড়লেও আগের মতো বেশি দামেই বিক্রি হচ্ছে। প্রতি ডজন ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১০০-১০৫ টাকা। সব ধরনের মাছের দামও কেজি প্রতি ২০-৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
ভয়েস অব বরিশাল /এইচ এম হেলাল
Leave a Reply