শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:১৪ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক:লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ সরকারি কলেজের ছাত্রাবাসটি এক যুগ ধরে শিক্ষকদের দখলে রয়েছে। এতে করে কলেজের ছাত্রদের থাকছে হচ্ছে মেস ও স্বজনদের বাড়িতে। আবেদন করেও ছাত্রাবাসে থাকার জায়গা পাচ্ছেন না ছাত্ররা।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৭ সালে রামগঞ্জ কলেজে তিন তলাবিশিষ্ট একটি ছাত্রাবাস নির্মাণ করা হয়। শুরু থেকে প্রায় ১০ বছর ছাত্ররা এখানে থাকার সুযোগ পেয়েছে। ২০০৭ সাল থেকে তাদের থাকতে দেয়া হচ্ছে না বলে ছাত্রদের অভিযোগ। প্রায় এক যুগ ধরে এই ছাত্রাবাসে ছাত্রদের ঠাঁই হয়নি। থাকছেন অধ্যক্ষসহ নয়জন শিক্ষক। ছাত্রদের অভিযোগ, ব্যবহারের অনুপযোগী বলে ছাত্রদের থাকতে না দিলেও শিক্ষকরা ঠিকই থাকছেন।বর্তমানে রামগঞ্জ সরকারি কলেজে প্রায় এক হাজার ৭০০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। স্থানীয় ছাড়াও পার্শ্ববর্তী নোয়াখালী ও চাঁদপুরের ছাত্ররা এ কলেজে পড়ালেখা করছে।তবে দূর-দূরান্তের ছাত্ররা ছাত্রাবাসে থাকতে না পারায় বিপাকে পড়েছেন।তাদেরকে আশ্রয় নিতে হয় মেসে কিংবা স্বজনদের বাড়িতে। এতে তাদের শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ বিঘ্নসহ নানা বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, কলেজ ছাত্রাবাসে থাকার সুযোগ না হওয়ায় প্রতিদিন বাড়ি থেকে আসা-যাওয়া করতে হয়। অনেক সময় পরিবহন সমস্যার কারণে যথাসময়ে ক্লাস বা পরীক্ষায় অংশ নেওয়া সম্ভব হয় না। কলেজে এলেও বাড়ি যাওয়ার টেনশনে পড়ালেখায় মনোনিবেশ করা যায় না।কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান বলেন, আবাসন থাকলেও ছাত্রদের বাসা ভাড়া করে থাকতে হয়।এমন অনেক ছাত্র আছে, যারা আর্থিকভাবে অসচ্ছল হওয়ায় মেস কিংবা বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতে পারে না। তাদের কথা বিবেচনা করে অধ্যক্ষ বরাবর আবেদন করেও ছাত্রদের ছাত্রাবাসে থাকার ব্যবস্থা হয়নি।ছাত্রাবাসে বাসকারী কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষক অসীম ধর আরটিভি অনলাইনকে বলেন, সম্প্রতি আমি এ কলেজে যোগদান করেছি। সাময়িকভাবে আমি এখানে উঠেছি।রামগঞ্জ সরকারি কলেজ অধ্যক্ষ মো. ইকরামুল হক বলেন, ছাত্রাবাসটি শিক্ষার্থীদের থাকার উপযোগী নয়। এখানে প্রয়োজনীয় লোকবলেরও অভাব রয়েছে। দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত থাকার পর কয়েকটি কক্ষ সংস্কার করে আমরা কয়েকজন শিক্ষক ব্যবহার করছি।
Leave a Reply