শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৪৭ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক:ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র পদে উপনির্বাচন এবং উত্তর ও দক্ষিণ সিটিতে যুক্ত হওয়া নতুন ওয়ার্ডগুলোর কাউন্সিলর নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণা শেষ হচ্ছে মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টায়। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এই সিটিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
ভোটের ৩২ ঘণ্টা আগে প্রার্থীদের আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা বন্ধের বিধান রয়েছে নির্বাচনী আইনে। সেই হিসাবে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত প্রচার চালাতে পারবেন প্রার্থীরা।
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটির এই নির্বাচন উপলক্ষে সংশ্লিষ্ট অংশে বৃহস্পতিবার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
ইসির কর্মকর্তারা জানান, ঢাকা উত্তরের মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম (নৌকা), জাতীয় পার্টির শাফিন আহমেদ (লাঙল), এনপিপির আনিসুর রহমান দেওয়ান (আম), স্বতন্ত্র আব্দুর রহিম টেবিল (ঘড়ি), পিডিপির শাহীন খান (বাঘ) প্রতীকে লড়ছেন।
উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ উপলক্ষে তিন দিন মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
ডিএনসিসি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবুল কাসেম বলেন, সব ধরনের যন্ত্রচালিত যানবাহন চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। মোটরসাইকেল ছাড়া অন্যান্য যান এক দিনের জন্য বন্ধ থাকবে।
মঙ্গলবার মধ্যরাত ১২টা থেকে শুক্রবার (১ মার্চ) মধ্যরাত পর্যন্ত (তিন দিনের জন্য) মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকবে। আর ২৭ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টা থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টা জন্য অন্য সব যান চলাচল বন্ধ থাকবে।
তবে সিটি করপোরেশনের আওতাধীন মহাসড়ক ছাড়াও আন্তঃজেলা ও মহানগর থেকে বের হওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, মহাসড়ক, প্রধান প্রধান সংযোগ সড়কে নিষেধাজ্ঞা শিথিল থাকবে।
২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে উপনির্বাচন এবং উত্তর-দক্ষিণ সিটির সম্প্রসারিত ৩৬টি সাধারণ ও ১২টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাধারণ নির্বাচন হবে। আর ঢাকা উত্তর সিটির ৯ ও ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মারা যাওয়ায় এ দুটিতে উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। ৯ নম্বর ওয়ার্ডে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ায় এ ওয়ার্ডে ভোটগ্রহণের প্রয়োজন হবে না। উত্তর দক্ষিণে সাধারণ ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডে আড়াই শতাধিক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রয়েছেন।
এদিকে ঢাকা সিটি করপোরেশনের নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচনী এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও অপরাধ প্রতিরোধের জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালত (মোবাইল কোর্ট) পরিচালনায় ৫০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিয়েছে সরকার।
Leave a Reply