রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:০৬ পূর্বাহ্ন
ইমতিয়াজুর রহমান।।ভোলায় নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে পৌর নাগরিকদের জন্যে বিশেষ অনুষ্ঠান ‘মেয়র মেজবান’। শনিবার (৯ মার্চ) সকাল থেকে রাত পোনে ২টা পর্যন্ত ভোলা পৌর মেয়রের উদ্যোগে শহরের ভোলা সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে অনুষ্ঠিত হয় এ অনুষ্ঠান । মেয়র মেজবানের এ অনুষ্ঠানে দিনব্যাপী ছিল নানা আয়োজন।
সকাল ১০টায় ভোলা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল মোমিন (টুলু) বেলুন ও ফানুস উড়িয়ে এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। পরে ধারাবাহিকভাবে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন চলতে থাকে।
সকাল থেকেই শিশু, কিশোর-কিশোরী, আবাল-বৃদ্ধ সকল শ্রেণী পেশার মানুষ মাঠে জড়ো হতে থাকে। এক পর্যায়ে পুরো মাঠ পরিপূর্ণ হয়ে যায়। মেয়র মেজবানের আয়োজনের অংশ হিসেবে শুরুতে সকাল ১০টায় শুরু হয় পিঠা উৎসব।
বেলা ১১টায় শিশুদের জন্য চিত্রাংকন প্রতিযোগীতা। বেলা ১২টায় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। বেলা ১টায় ভোলা পৌরসভার মেয়র মনিরুজ্জামান(মনির) পৌর ৩০ হাজার নাগরিকদের সাথে মধ্যাহ্ন ভোজ করেন।
বিকাল ৩টায় থেকে ৪টা ঘন্টা ব্যাপী স্থানীয় শিল্পীরা গান ও নাচ পরিবেশনা করেন। বিকেল ৪টায় পৌর নাগরিকদের সাথে মেয়র বিশেষ এক মতবিনিময় সভা করেন।
দিনব্যাপী মেয়র মেজবান অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোলার জন্য প্রিয় সংগীত শিল্পী ও উপস্থাপক তালহা তালুকদার(বাঁধন)।
সর্বশেষ অনুষ্ঠানের আকর্ষণীয় হিসেবে ছিল দুই বাংলার জনপ্রিয় শিল্পীদের সংগীত অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানের ২য় পর্যায়ে সন্ধ্যায় জমকালো সংগীত পরিবেশনা করেন স্বনামধন্য সংগীত শিল্পীরা।
সন্ধ্যা ৭টা ৫২ মিনিটে মঞ্চে উঠেন শিল্পী অংকন। তিনি মঞ্চে উঠেই আমি তো ভালানা ভালা লইয়া থাইকো ,বকুল ফুল বকুল,মধু হই হই আরে বিষ হাওয়াইলা,দে দে পাল তুলে,তুই আমারে করলি দিওয়ানা, তোমাকে চাই শুধু আরো কাছে সহ বেশ কিছু জনপ্রিয় গান পরিবেশনা করেন।
এরপর ৮টা ৪২ মিনিটে মঞ্চে উঠেন জনপ্রিয় রিয়ালিটি শো-সা রে গা মা পা’র দেবজানি আচ্যার্য। তিনি মঞ্চে উঠেই লাউয়ের আগা খাইলাম ডোগাগো খাইলাম,সুন্দরী কমলা নাচে সহ বেশ কয়েকটি গান পরিবেশনা করেন।
রাত ৯টা২৫ মিনিটে মঞ্চে ওঠেন রোমান্টিক গানের শিল্পী বেলাল খান । তিনি মঞ্চে উঠেই পাগল তোর জন্যেরে পাগল ,শুধু তোরিই জন্য কাদে মন সোনা পাখি, আমি না থাকিলে সংসারে, চুমকি চলেছে একা পথে,বেশ বেশ বেশ সাবাস বাংলাদেশ সহ বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় গান পরিবেনা করেন।
রাত ১০টায় মঞ্চে উঠেন সা রে গা মা পা খ্যাত অবন্তী সিথী। তিনি মঞ্চে উঠেই প্রথমে শীস দেন। পরে তিনি সোনা বন্ধুর মুখের হাসি, যদি সুন্দর একটা মন পাইতাম সহ বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় গান পরিবেশনা করেন।
রাত ১০টা ৩৬ মিনিটে উঠেন ভারতের জনপ্রিয় শিল্পী রোজালিন সাউ। তিনি মঞ্চে উঠেই তেরি, চুরালিয়া, মেরে উসকু, দিলবার দিলবার, হরে কৃষ্ণ হরে রাম, ঝুম ঝুম, দিল বায় কারে সিটা বাজারে, আজ হুয়ে পানি পানি, তো খিস মেরে ফটোসহ বেশ কয়েকটি গান পরিবেশনা করেন। দেড় ঘন্টা তিনি এক নাগাড়ে গান গাইতে থাকেন।
গভীর রাত ১২টায় মঞ্চে উঠেন বাংলার জনপ্রিয় শিল্পী প্রতীক হাসান। তিনি মঞ্চে উঠেই অনেক সাধনার পরে আমি পেলাম তোমার মুখ, সেই মেয়েটি আমাকে ভালোবাসে কিনা, এই যে বিয়ান সাব দেখায়েইনা, ভোলার পোলা ভোলার পোলা, আইজ আমার গার্লফ্রেন্ডের বিয়া, আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম সহ বেশ কয়েকটি গান পরিবেশনা করেন।
রাত পোনে ১টায় মঞ্চে উঠে শিল্পী প্রমিত। তিনি মঞ্চে উঠেই সাধু বাবা সাধু বাবা আমায় একখান তাবিজ দেন, কলেজে পড়ে এক মাইয়াসহ বেশ কয়েকটি গান পরিবেশনা করতে। গানের তালে হেলে দুলে নাচতে থাকে সব বয়সী মানুষ। আসন ছেড়ে দিয়ে পুরো অনুষ্ঠানে গানের তালে নাচতে থাকে উপস্থিত দর্শকরা।
ভোলা পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনিরের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ভোলা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, পুলিশ সুপার মোকতার হোসেন, ভোলা জেলা পরিষদের চেয়্যারম্যান আবদুল মোমিন (টুলু), ভোলা প্রেসক্লাব সভাপতি ও দৈনিক বাংলার কন্ঠের সম্পাদক এম হাবিবুর রহমান , ভোলা সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার দোস্ত মাহমুদসহ পৌর সভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক,পৌরসভার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ প্রমুখ।
Leave a Reply