ভোলার ফেরিঘাটে ৬ স্টার বাহিনীর চাঁদাবাজী Latest Update News of Bangladesh

শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:১৬ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




ভোলার ফেরিঘাটে ৬ স্টার বাহিনীর চাঁদাবাজী

ভোলার ফেরিঘাটে ৬ স্টার বাহিনীর চাঁদাবাজী




 

ভোলা প্রতিনিধি:ভোলায় ফেরিঘাট গুলোতে ব্যাপক চাঁদাবাজির ও অতিরিক্ত রশিদবিহীন বাড়তি ভাড়া নেয়ার অভিযোগ উঠেছে বিআইডব্লিওটিসির ঘাট ইনচার্জসহ সংশ্লিষ্ট কর্মচারী ও ঘাটে টহলরত পুলিশের বিরুদ্ধে। তাদের সঙ্গে শ্রমিক ইউনিয়নের ও স্থানীয় রাজনীতিবীদ নামদারি নেতাদের যোগসাজোস রয়েছে। এর ফলে পকেট খসে ভাড়ার সবটাই খরচ হয়ে যায়।

তাই এখন আর ভোলাতে গাড়ি ভাড়া নিয়ে আসতে চান না ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান চালকরা। ভোলা থেকে লক্ষীপুর ও ভোলা-বরিশাল রুটের ভেদুরিয়া থেকে লাহারহাট এই দুটি ঘাটে এমন অনিয়ম হয়ে থাকে। তবে ঈদকে সামনে রেখে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও চাঁদাবাজি বেড়েছে অনেকগুন। এ বিষয়ে বিআইডব্লিওটিসির কোনো পদক্ষেপ নেয়ার মতো কিছুই পরিলক্ষিত হয়নি আজও।

জানা যায়, ভোলা ভেদুরিয়া ঘাটের অফিস সহকারি কাম কম্পিউটার অপারেটর নজরুল ইসলাম ও ঘাট ইনচার্জ জসিম ঘাটের হর্তা, কর্তা। সকল অনিয়মকে তারা নিয়মে পরিণত করেন। বাড়তি টাকা না দিলেই ঘাটে বসে থাকতে হয় তিন-চার দিন ধরে। ফলে তাদের মনের মতো করে চালাতে থাকে ফেরি। এজন্য ভোলাতে আটকে থাকে শতশত পন্যবাহী গাড়ি। এভাবেই নজরুল ও জসিম বছরে কোটি টাকা কামিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। তবে এর একটা ভাগ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে মাসিক হিসেবে দিয়ে দায়িত্বে বহাল থাকছেন বছরের পর বছর।

এদিকে ভোলা-লক্ষীপুর ফেরি ঘাটের দায়িত্বে থাকা ম্যানেজার (বানিজ্য) ইমরান খানের বিরুদ্ধে পরের গাড়ি আগে ও আগের গাড়িকে ঘাটে তিন-চারদিন বসিয়ে রাখারও অভিযোগ রয়েছে।

এ ছাড়াও ট্রাফিক পুলিশের হয়রানি চরম আকার ধারণ করেছে। গাড়ি প্রতি দুই শত টাকা দিলেই সব যেন মাফ। তা না হলে গাড়ি আটকিয়ে রাখা হয় ঘন্টার পর ঘন্টা। তবে ট্রাফিক পুলিশের চাঁদাবাজির বিষয়ে ভোলা জেলা পুলিশের সহকারি পুলিশ সুপার সাব্বির আহমেদ বলেন, আমাদের কাছে কেউ যদি লিখিত অভিযোগ প্রদান করলে আমরা তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহণ করব। এ বিষয়ে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

ভেদুরিয়া-লাহারহাট ও ভোলা-লীক্ষপুর ঘাটের কয়েকজন ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ড্রাইভার বলেন, মাছের ও গরুর গাড়ী নিয়ে আমাদের বেশি ভোগান্তি পোহাতে হয়। এজন্য তারা তাদের মনের মতো টাকা না দিলে বেকে বসেন। এ ছাড়াও কারো কাছ থেকে ১৪০০ টাকার ভাড়া ২০০০ টাকা, ৬০০ টাকার ভাড়া ১৮০০ টাকা ও ১৪০০ টাকার ভাড়া লাহারহাট ঘাটে ১৭০০ টাকা এবং ভেদুরিয়া ঘাটে ১৯০০ টাকা নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। তবে গাড়ী ছোট হোক এবং বড় হোক পুলিশকে ২০০ টাকা প্রদান করতেই হয়।

তবে এ অভিযোগের ব্যাপারে নিজেকে নির্দোষ দাবী করে ভোলা বরিশাল রুটের ভেদুরিয়া-লাহারহাট ঘাট ইনচার্জ জসিম উদ্দিন বলেন, এ ঘাটে কোনো গরুর গাড়ি যাওয়া-আসা করে না। তাই চাঁদাবাজি হয় না। গাড়ির ড্রাইভাররা আমার নামে যা বলেছে তা সত্য নয়। বিইডব্লিউটিসির বিরুদ্ধে ওরা সব সময় এ কথাই বলে থাকে।

এদিকে ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের নামে চাদা উত্তোলন করেন সুমন, খালেক ও সবুজ। এরা সবাই স্থানীয় নেতাদের বেতন ভুক্ত।

এ প্রসঙ্গে সুমন বলেন, আমরা ৫০টাকা করে প্রতিটি গাড়ি থেকে উত্তোলন করি। এই টাকা আমাকে উঠানোর জন্য শ্রমিক ইউনিয়ন থেকে বলেছে। তবে এ টাকা দুটি গ্রুপ সপ্তাহ হিসেবে ভাগ করে উত্তোলন করে স্থানীয় নেতাদের ভাগ করে নেয়ার এমন অভিযোগ রয়েছে।

এ ব্যাপারে ভেদুরিয়া- লাহারহাট ঘাটের দায়িত্বরত সহকারি ম্যানেজার (বানিজ্য) কাওছার হোসেন বলেন, অফিস সহকারি নজরুল ও ঘাট ইনচার্জ জসিমের নামে আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ নেই। তবে জহির এর নামে সুনিদিষ্ট অভিযোগ আছে। তার বিরুদ্ধে আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ চলছে।

তবে কাওছার হোসেন নিজেই লাহারহাট ঘাটে বসে থেকে ফেরির টিকেট মাষ্টারদের মাধ্যমে অতিরিক্ত ভাড়ার টাকা আদায়ের কথা অস্বিকার করেন।

এ বিষয়ে ভোলা-লক্ষীপুর ঘাটের দায়িত্বরত ম্যানেজার (বানিজ্য) মো: ইমরান খান বলেন, এখানে অতিরিক্ত কোনো ভাড়া আদায় করা হয় না। ট্রাক ড্রাইভাররা দু-এক দিন বসে থেকে বিরক্ত প্রকাশ করছে।

তবে বরিশাল বিভাগীয় বিআইডব্লিউটিসির সহকারি পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমাদের কাছে এমন কেউ যদি অভিযোগ করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

তিনি আরো বলেন, আমরা যখন ঘাটগুলোতে পরিদর্শন করতে যাই তখন কোনো গাড়ির ড্রাইভার আমাদের কাছে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না। তাই আমরা তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যাবস্থা গ্রহণ করতে পারছি না।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD