বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:২৯ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ প্রচারণার শেষ দিন শনিবার নগরবাসীর ভোট বাগাতে ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন প্রার্থীরা। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভোটারদের মনজয়ে চালিয়েছেন নানান কর্মসূচি। লিফলেট নিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে করছেন ভোট প্রার্থনা। এদের মধ্যে নৌকার প্রার্থী খোকন সেরনিয়াবাত নগরীর বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করেছেন। বিকেলে নৌকার পক্ষে নগরীতে বিশাল শোডাউন করেছেন ১৪ দলের কেন্দ্রীয় নেতারা। এরপর জাতীয় পার্টির প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইকবাল হোসেন তাপস নগরীতে বিশাল একটি শোডাউন করেন। এর পরই ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীমের সমর্থকরাও অশ্বিনী কুমার হলের সামনে শোডাউনে অংশ নেন। প্রচার-প্রচারণার শেষ দিন নগরী শোডাউনের নগরীতে পরিণত হয়েছে।
শনিবার দুপুরে নগরীর নবগ্রাম রোডে গণসংযোগ করেছেন নৌকার প্রার্থী খোকন সেরনিয়াবাত। এ সময় খোকন বলেছেন, বরিশালের সার্বিক উন্নয়নের জন্য নৌকা মার্কার বিকল্প নেই। নির্বাচনে বিজয়ী হলে বরিশালকে স্মার্ট নগরী হিসেবে গড়ে তোলা হবে। নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে সিটি করপোরেশনকে নগরবাসীর জন্য উন্মুক্ত করে দেবো। জনগণের জীবনমানের উন্নয়ন হবে। তাই নগরীর উন্নয়নের স্বার্থে নৌকা প্রতীকে ভোট দেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। এ দিকে বিকেলে নগরীর সদর রোডে বিশাল শোডাউন করেছেন জাতীয় পার্টির লাঙ্গলের মেয়র প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস। এর আগে নগরীর ভাটারখাল এলাকায় গণসংযোগকালে তাপস সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচন নিয়ে সংশয় কাটেনি। শুক্রবার রাতে ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদককে হুমকি দিয়েছেন অজ্ঞাত ব্যক্তিরা বলেছেন, কেন্দ্রে গেলে মেরে ফেলব। খবর পেয়েছি আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে রসুলপুরের বাসিন্দাদের দুই হাজার টাকা করে দিচ্ছে। নৌকার পক্ষে সরকারের কয়েকটি বিভাগ কাজ করছে। আওয়ামী লীগের প্রার্থীই চায় না বরিশালে সুষ্ঠু ভোট হোক। ভোটের মাঠের পরিবেশ সুষ্ঠু ও সুন্দর রয়েছে বলে জানিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল আহসান রুপন দুপুরে বরিশাল প্রেস ক্লাবে ৩০ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেছেন। ইশতেহারে তিনি বরিশালের বিভিন্ন উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ২০ বছর আগে পৌরসভা থেকে বরিশাল সিটি করপোরেশনে রূপান্তর হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত চারবার নির্বাচন হয়েছে। আগামী ১২ জুন বরিশাল সিটি করপোরেশনের পঞ্চম পরিষদের নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। ৫৮ বর্গকিলোমিটারের এই নগরীতে মোট ভোটার দুই লাখ ৭৬ হাজার ২৯৮ জন। তাদের মধ্যে নারী ভোটার এক লাখ ৩৮ হাজার ৮০৯ জন। এ ছাড়া পুরুষ ভোটার রয়েছেন এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৮৯ জন।
Leave a Reply