রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৬ পূর্বাহ্ন
মাসুদ রানা: পহেলা বৈশাখ আর মাত্র ২দিন পর। বাঙালী সংস্কৃতির অনন্য এক উৎসব। শুধু সংস্কৃতি নয়, এই উৎসবকে ঘিরে এখন পুরো দেশের অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে গতি বাড়ছে। গ্রাম থেকে শহর সর্বত্রই বৈশাখ ঘিরে জমজমাট প্রস্তুতি চলছে।সারা দেশের ন্যায় পিরোজপুরের বিভিন্ন বিপণিবিতান, মার্কেট, শপিংমল থেকে শুরু করে ফুটপাথ ছেয়ে গেছে বৈশাখী সামগ্রী ও রকমারি পোশাকে। পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে দেয়া হচ্ছে আকর্ষণীয় সব অফার। ক্রেতারা বলছে পণ্যে দাম নাগালের মধ্যেই আছে আর বিক্রেতা বলছে গত বছরের তুলনায় বেচাকেনা বেড়েছে কয়েক গুণ বেশি।বাংলা নববর্ষ সামনে রেখে পিরোজপুরে জমে উঠেছে কেনাকাটা। উৎসবমুখর পরিবেশে মার্কেট-বিপণিবিতানে এখন ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। পহেলা বৈশাখকে ঘিরে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে জেলার বিভিন্ন শপিংমল। নববর্ষের রঙে রাঙানো হয়েছে প্রতিটি ফ্যাশন হাউস। পিরোজপুরের মার্কেট-বিপণিবিতানে চলছে শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা।
জেলার শপিংমল থেকে শুরু করে ফুটপাথ ছেয়ে গেছে বৈশাখের পোশাকে। এবছর পোশাক বিক্রি গত বছরের তুলনায় বেড়েছে কয়েক গুন বেশি। বাজার সংশ্লিষ্টদের ধারণা, বৈশাখ উপলক্ষে এবার শাড়িসহ বিভিন্ন ধরনের পোশাকই বিক্রি হবে অর্ধকোটি টাকার। এর সঙ্গে চুড়ি, মালা, দুল, মাটির তৈরি পণ্য, কুটিরশিল্পসহ নানা পণ্য বিক্রির টার্গেটও ছাড়িয়ে যাবে।
পোষাক ব্যবসায়ীরা জানান, তবে জেলা ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাওলা নকিব জানান,গত বছর গুলোর চেয়ে এবছরের বৈশাখী বেচাকেনা অনেক বেশি হচ্ছে যা পূর্বের রের্কড ছাড়িয়ে যাবে। ব্যবসায়ীদের সার্বিক নিরাপত্তা দিচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন।
এদিকে বাঙালীর প্রাণের সংস্কৃতিক এ উৎসবের উপর কোন অপশক্তির বাধা যেনো না আসে। সে ব্যাপারে পুলিশ প্রশাসন সজাগ রয়েছে বলে জানান, পিরোজপুর পুলিশ সুপার (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ মোল্লা আজাদ। তিনি আরও বলেন, এ উৎসব পালন করার জন্য সকল শ্রেণী পেশার মানুষের সহযোগীতা চান তিনি।ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সারা বছর তাদের যে ব্যবসা হয় তার অর্ধেকই হয় রোজার ঈদে। পহেলা বৈশাখে হয় প্রায় ২৫ শতাংশ। আর বাকিটা সারাবছর। তবে এবার বৈশাখী পণ্যের যে বেচাকেনা হয়েছে তাতে এখনই ৩০ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। শেষ সময় এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে তা ৩৫ শতাংশে এসে দাঁড়াবে। আর ক্রেতারা বলছেন এবছর বৈশাখীর সব পণ্যে অফার দেওয়া হয়েছে তাই কেনাকাটা চাহিদা অনুযায়ী করতে পাচ্ছেন।
Leave a Reply