বিসিসি’র তালিকাভুক্ত সেই ৩৪টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন Latest Update News of Bangladesh

শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৩ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩
সংবাদ শিরোনাম:




বিসিসি’র তালিকাভুক্ত সেই ৩৪টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন

বিসিসি’র তালিকাভুক্ত সেই ৩৪টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন




                               নোটিশের তোয়াক্কা করছে না সরকারি দপ্তর গুলোর কর্মকর্তারা.

স্টাফ রিপোর্টার:
প্রাকৃতিক দুর্যোগ কিংবা ভূমিকম্পে ধ্বসে পড়ার ঝুঁকি নিয়ে এখনো দাঁড়িয়ে আছে নগরীর ৩৪টি ঝুঁকিপূর্ন ভবন। ২০১৩ এবং ২০১৫ সালে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ বসবাস অনুপযোগী ঝুঁকিপূর্ন হিসেবে চিহ্নিত করেছিলো ৩৫টি ভবন। এর পর সেগুলো ভেঙে ফেলতে দফায় দফায় নোটিশ এবং ঝুঁকিপূর্ন সাইনবোর্ডও লাগিয়েও দেয়া হয়। কিন্তু এর কোনটিতেই পাত্তা পায়নি নগর কর্তৃপক্ষ। বরং সদর রোডের একটি ভবন ছাড়া বাকি ৩৪টি ভবনই দাড়িয়ে আছে ঝুঁকিপূর্ন অবস্থায়। এমনকি তার মধ্যে সরিয়ে ফেলা হয়েছে ঝুঁকিপূর্ন লেখা সাইন বোর্ড গুলোও।

শুধু বেসরকারি ভবন গুলোই নয়, বরং নগর কর্তৃপক্ষের দেয়া নোটিশের তোয়াক্কা করছে না সরকারি দপ্তর গুলোর কর্মকর্তারাও। তারা ভেঙে ফেলার উদ্যোগ না নিলেও ঝুঁকিপূর্ন ভবনের বাহির থেকে সংস্কার করে তার মধ্যেই চালিয়ে যাচ্ছেন দৈনন্দিন কার্যক্রম এবং বসবাস। এর ফলে ঝুঁকিপূর্ন ওই ভবনগুলো নিয়ে আরো ঝুঁকির মধ্যে আছেন প্রতিবেশী এবং পথচারীরা। ভূমিকম্প বা দমকা হওয়ায় নড়ে ওঠা ভবন গুলো যে কোন সময় ভেঙে পড়ে ক্ষয়ক্ষতির আশংকা করছে তারা। আর এমনটির দায়ভার নগর কর্তৃপক্ষ নাকি ভবন মালিকরা নিবেন সে প্রশ্নই এখন সংশ্লিষ্ট মহলের।

বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালে সর্বপ্রথম নগরীর ঝুঁকিপূর্ন ভবনের তালিকা তৈরী করে নগর কর্তৃপক্ষ। এরপর সর্বশেষ ২০১৫ সালে ওই তালিকার হালনাগাদ হয়। নগর কর্তৃপক্ষ এবং বুয়েট এর পরীক্ষা নিরীক্ষার প্রতিবেদন অনুযায়ী নগরীর ৩৪টি ভবন বসবাস অনুপযোগী ঝুঁকিপূর্ন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। প্রকৌশল বিভাগের দেয়া তথ্য অনুযায়ী নিয়ম না মেনে ভবন নির্মান, দীর্ঘ দিনের পূরানো ভবনে ফাটল, একের অধিক তলা ভবন জরাজীর্ন অবস্থায় থাকা, হেলে পড়া, ফাটল, পরিত্যক্ত সহ নানা কারনে ভবনগুলো ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষনা করা হয়েছিলো। পরবর্তীতে ঝুঁকিপূর্ন ভবন গুলো ভেঙে ফেলার উদ্যোগ নেয়া হলেও জনবল ও যন্ত্রাংশ সংকটের কারণে সেই সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে যায় নগর কর্তৃপক্ষ। এছাড়া ভেঙে ফেলার উদ্যোগকে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপে বাঁধাগ্রস্থ করে বলেও অভিযোগ রয়েছে।

বিসিসি’র স্টেট অফিসার মো. মাহবুবুর রহমান সাকিল বলেন, ঝুঁকিপূর্ন ভবন নগর কর্তৃপক্ষ নিজে ভাংতে না পারলেও একাধিকবার নোটিশ দেয়া হয়েছে। ২০১৩ সাল থেকে ১৬ সাল পর্যন্ত চার দফায় নোটিশ জারি করা হয় ঝুঁকিপূর্ন ভবন ভেঙে ফেলার জন্য। তাতেও কোন কাজ না হওয়ায় প্রতিটি ভবনের সামনে বড় করে লাল রং এর সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেন তারা। যাতে লেখা ছিলো “এই ভবন বসবাস অনুপযোগী ঝুঁকিপূর্ন”। তবে মজার ব্যাপার হলো সাইন বোর্ড গুলো লাগানোর একদিন পরেই তা সরিয়ে ফেলে সংশ্লিষ্ট ভবন মালিক পক্ষ। এর পরে ওইসব ঝুঁকিপূর্ন ভবন অপসারণে আর কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি।

তিনি বলেন, ২০১৩ ও ২০১৫ সালের সার্ভেতে যে ৩৫টি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষনা করা হয়েছিলো তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- কাউনিয়া জানুকিসিংহ রোডের মতি লস্করের বাড়ি, পূর্ব বগুড়া রোডে রবীন্দ্রনাথ সেনের ভবন, আগরপুর রোডের মনু মিয়ার বাড়ি, কাটপট্টি সড়কে সাধনা ঔষধালয় ভবন, সৈয়দ জুম্মান ব্রাদার্স, অমৃত ভবন, আহম্মদ ক্লথ স্টোর, চন্দ্রিকা ব্রাদার্স, মিল্লাত ফার্মেসী, ঈশ্বর বসু রোডের সৈয়দ মঞ্জিল, হাসপাতাল রোডের মান্নান মৃধার ভবন, কালুশাহ্ সড়কের জালাল আহমেদের ভবন, নবগ্রাম রোডে হাতেম আলী কলেজের আলমগীর ছাত্রাবাসের পুরাতন ভবন, কলেজের অভ্যন্তরে বিজ্ঞান ভবন,

শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ লেনের ক্ষণিকা ভবন, ব্রজমোহন কলেজের সুরেন্দ্র ছাত্রাবাস ভবন, বগুরা রোডে সালাম চেয়ারম্যানের পুরানো ভবন, হাজী ইসরাইলের বিল্ডিং, নগর ভবনের পেছনে জেলা পুলিশের সাবেক হাজত ও মালখানা, সিএন্ডবি রোডে সদর উপজেলা পরিষদের পুরাতন ভবন, সদর রোডের সৈয়দ ভবন, কাউনিয়া প্রধান সড়কের বেণীলাল গুহের বাড়ি, রূপাতলী গোলচত্তর এলাকায় নলছিটি প্লাজা, কাটপট্টির সেয়দ কামাল হোসেন রুবেলের ভবন, চিত্ত শাহা ভবন, ফজলুল হক এভিনিউ’র আলহাজ্ব আব্দুর রহমানের গোল্ডেন টাওয়ার, হোটেল বাহাদুর এর ভবন সহ মোট ৩৫টি ভবন রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণের তালিকায়।

এর আগে ১০১৩ সালের ৫ই মে নবগ্রাম রোডের জাহাঙ্গীর হোসেনের মালিকানাধীন “শখ নিবাস” নামের পাঁচতলা ভবনটি পাশের ছয়তলা ভবনের ওপর হেলে পড়েছিলো। ওইসময় সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ ভবনের বাসিন্দা এবং মালামাল সরিয়ে নিয়ে ভবনটি সীলগালা করে দেয়। সেই ভবনটি এখনো হেলে পড়া অবস্থাতে থাকলেও তার ভেতরে অফিস সহ মানুষ বাস করছে।

তাছাড়া এসব ঝুঁকিপূর্ন ভবনের মধ্যে গত ৫ বছরে শুধুমাত্র সদর রোডের সৈয়দ ভবন ভেঙে ফেলা হয়েছে। বাকি ৩৩টি ভবনই ঝুঁকিপূর্ন অবস্থাতেই দাড়িয়ে আছে। শুধু তাই নয়, এসব ভবনের অধিকাংশেই সহস্রাধিক মানুষ না জেনে বছরের পর বছর ধরে মৃত্যুকে সঙ্গী করে বসবাস করে আসছেন।

সরেজমিনে দেখাগেছে, নগরীর কাকলির মোড় সংলগ্ন ফজলুল হক এভিনিউ সড়কের হোটেল বাহাদুর নামক ভবনটি পূর্বের থেকে আরো ঝুঁকিপূর্ন হয়েছে। তার মধ্যেই নিচ তলায় ৫/৬টি স্টল রয়েছে। উপর দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় রয়েছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ভবনটির সামনে থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ এবং যানবাহন চলাচল করছে। ভবনটি ভেঙে পড়লে অনেক ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।

স্টেট অফিসার মাহবুবুর রহমান বলেন, ৩৪টি ভবনের মধ্যে মেডিকেল কলেজ লেন এর “ক্ষনিকা” ভবনের মালিক ২০১৬ সালের ১২ এপ্রিল একজন বিএসসি প্রকৌশলীর মাধ্যমে একটি লোড বেয়ারিং সার্টিফিকেট জমা দিয়েছেন সিটি কর্পোরেশনে। ওই সার্টিফিকেট অনুযায়ী হেলে পড়া ভবনটি বসবাসে কোন ঝুঁকি নেই। একই ভাবে আরো একটি বাড়ির মালিক লোড বেয়ারিং সাটিফিকেট দিয়ে ঝুঁকিপূর্ন তালিকা হওয়া ভবনেই বসবাস করছে।

তাছাড়া রূপাতলীর নলছিটি প্লাজা’র মালিক বিসিসি’র প্রকৌশল বিভাগের সার্ভে ভুল হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন। তার দাবী নলছিটি প্লাজা নয়, বরং তার ভবনের পাশে যে ভবনটি রয়েছে সেটি ঝুঁকিপূর্ন। এমন অজুহাত দেখিয়ে ঝুঁকিপূর্ন ভবনটি ভাংছে না। সদর রোডের ‘শাকুর ম্যানশন’ ভেঙে ফেলার উদ্যোগ নিয়েছিলো। কিন্তু মালিকানা নিয়ে আইনী জটিলতার জন্য তা পারছে না।

স্টেট অফিসার আরো বলেন, কাটপট্টিতে বেশি কিছু ভবন রয়েছে যেগুলো ঝুঁকিপূর্ণের তালিকায় রয়েছে। কিন্তু সেগুলো ভাঙা হচ্ছে না। ওইসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকদের আমরা একাধিকবার নোটিশ দিয়েছি। কিন্তু তারা ভিপি সম্পত্তি বলে জেলা প্রশাসকের দোহাই দিয়ে ঝুঁকিপূর্ন ভবনের মধ্যেই কার্যক্রম পালিয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে ইতিপূর্বে জেলা প্রশাসকদের সাথে যোগাযোগ এবং ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য চিঠি দেয়া হয়েছে। কিন্তু তারাও বিষয়টিতে গুরুত্ব দিচ্ছে না।

নগর ভবনের পেছনে পুলিশের সাবেক হাজত এবং মালখানা রয়েছে। যা ভেঙে ফেলার জন্য জেলা পুলিশ সুপার এবং গণপূর্ত বিভাগকে চিঠি দেয়া হয়েছে। কিন্তু ভাঙা হয়নি। বরং ঝুঁকিপূর্ন ভবন সংস্কার করে সেখানেই কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। বহাল রয়েছে সদর উপজেলা পরিষদের পুরাতন ভবন, হাতেম আলী কলেজের পুরাতন ছাত্রাবাসটিও। যেখানে মানুষ বসবাস করছে।

খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, শুধুমাত্র তালিকাভুক্ত ওই ৩৪টি ভবনই ঝুঁকিপূর্ন নয়। বরং এর বাইরেও অনেক ঝুঁকিপূর্ন ভবন রয়েছে। যে গুলোর সার্ভেও হয়নি আর ঝুঁকিপূর্ণের তালিকায় অন্তর্ভূক্ত হয়নি। বরং ঝুঁকিপূর্ন সেইসব ভবনের মধ্যেই চলছে বসবাস সহ দৈনন্দিন কার্যক্রম। বিশেষ করে সদর রোডের সোহেল চত্ত্বরে দীর্ঘ বছরের পুরানো ওয়েসিস বিল্ডিং এর পুনঃসংস্কার কাজ চলছে কোন প্রকার অনুমতি ছাড়াই। বিসিসি’র একটি সূত্র জানিয়েছে, ওয়েসিস বিল্ডিংটি ঝুঁকিপূর্ণ। তার পরেও চার দিক থেকে আটকিয়ে সেখানে সংস্কার কাজ করছে মালিক পক্ষ। এ ক্ষেত্রে বিসিসি’র প্লান কিংবা অনুমতিও নেয়া হয়নি। তাই ওই ভবনটিও যে কোন সময় ভেঙে পড়ার আশংকা রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ইতিপূর্বে নগর কর্তৃপক্ষের বরাবর অভিযোগও করা হয়েছে। কিন্তু রহস্যজনক কারনে তারা কোন ব্যবস্থা নেয়নি।

অপরদিকে নতুন করে ঝুঁকিপূর্ণের তালিকায় রয়েছে নগরীর অসংখ্য ভবন। যা দ্রুতই সার্ভে করা প্রয়োজন বলে দাবী করেছেন অনেকে। বিশেষ করে নগরীর মহিলা কলেজের কবি সুফিয়া কামাল ছাত্রী নিবাসের অবস্থা খুবই নাজুক। সম্প্রতি ওই ছাত্রীবাসের কিছু অংশ ভেঙেও পড়ে। ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হলেও তার নিচ তলায় ছাত্রীরা বসবাস করছে। মেডিকেল কলেজের পুরানো ছাত্রী নিবাসটি ঝুঁকিপূর্ন হওয়ায় সেটি পরিত্যাক্ত ঘোষনা করা হয়। কিন্তু তার মধ্যেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভবনটিতে বসবাস করছেন মেডিকেল শিক্ষার্থীরা।

এদিকে বিসিসি’র ঝুঁকিপূর্ণের তালিকাভুক্ত ভবনের বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হয় ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইসরাইল হোসেন এর সাথে। কিন্তু এ সম্পর্কে তার কিছু জানা নেই বলে সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদককে জানান। তাছাড়া বিষয়টি প্রকৌশল বিভাগের ব্যাপার বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বিসিসি’র প্রধান প্রকৌশলী মো. নূরুল ইসলাম বলেন, ইতিপূর্বে ভবনটিগুলো ভাঙার বিষয়ে আমরা উদ্যোগ নিয়েছিলোম। কিন্তু প্রয়োজনীয় জনবল এবং যন্ত্রাংশ না থাকায় সেই উদ্যোগ থেকে পিছিয়ে আসতে হয়েছে। তবে আমরা একাধিকবার নোটিশ করেছি এবং ভবনের সামনে সাইনবোর্ড লাগিয়ে দিয়েছিলাম।

তিনি বলেন, গত প্রায় আড়াই বছর ধরে ঝুঁকিপূর্ন ভবন ভাঙার বিষয়ে নতুন কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে নতুন মেয়র মহোদয় দায়িত্ব নিয়েছেন। নতুন সিইও আসছেন। বিষয়টি নিয়ে তাদের সাথে পুনরায় আলোচনা করা হবে। ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভাঙা কিংবা ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করতে নতুন করে সার্ভে করার বিষয়ে নতুন কোন সিদ্ধান্ত আসলে সেভাবে পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD