বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:১৩ পূর্বাহ্ন
মো. সুজন মোল্লা,বানারীপাড়া॥ হঠাৎ বিত্তশালী বনে যাওয়া আওয়ামী লীগ নেতাদের তালিকা করা হয়েছেশুনে বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে কৌতুহল দেখা দিয়েছে। তারা চায়ের টেবিল থেকে শুরু করে পার্টি অফিসপাড়ায় বসে আলোচনা করছেন তাহলে তাদের বানারীপাড়া উপজেলার আওয়ামী লীগের কিছু কিছু নেতাদের কি হবে। তবে তাদের কোন কোন নেতার নামকি দেশরতœ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে রয়েছে। কেননা এই উপজেলায় বিগত কয়েক বছরে দলের অসংখ্য নেতারা হয়েছেন অঢেল সম্পত্তির মালিক। অথচ তাদের বৈধ আয়ের উৎস বলতে তেমন কিছু ছিলোনা বলেও ওই আলোচনায় উঠে আসছে। জানা গেছে বিগত কয়েকজন সাংসদদের একান্তে থাকা কিছু নেতা রাতারাতি কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন এ উপজেলায়।
এসব নেতারা কেবল অর্থ কামিয়েই তাদের রাজনৈতিক মিশন শেষ করেননি। সন্ধ্যা নদীর তীরে জেগে ওঠা পৌর শহরের ১ ও ২নং ওয়ার্ডে খাস সম্পত্তি নামে-বেনামে লিজ নিয়ে,লিজের সম্পত্তির চেয়ে অনেক বেশি সম্পত্তি দখল করে গড়ে তুলেছেন প্রায় অট্টালিকা সমান পাকা ভবন। তবে চান্দিনা ভিটার নামে লিজ নেয়া কোন নেতাই ব্যবসা করছেন না বলে জানা গেছে। তারা অধিক অর্থ অগ্রিম নিয়ে গলাকাটা মূল্যে প্রায় অট্টালিকা সমান ভবন ভাড়া দিচ্ছেন। এক অনুসন্ধানে জানা গেছে একেকজন নেতার রয়েছে নামে-বেনামে অনেক চান্দিনা ভিটার লিজ। তবে যাদের পাওয়ার কথাছিলো তারা পাননি এখানকার সরকারি সম্পত্তির লিজ। যারফলে ওই নেতাদের কর্মের জন্য সরকারের সমালোচনা করছেন অনেক হত-দরিদ্র ব্যবসায়ীরা। আবার কোন কোন নেতা লিজ নিয়ে সেই সম্পত্তি বিক্রি করে দিচ্ছেন আকাশ ছোঁয়া মূল্যে।
ক্ষমতার ছায়াবৃক্ষ আওয়ামী লীগে ঘাপটি মেরে বসে থেকে যারা ফায়দা লুটছে তাদের ব্যাংক একাউন্ট খতিয়ে দেখাসহ তাদের গ্রামের বাড়িতেও খোঁজ-খবর নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন তৃণমূলের ত্যাগী নেতা-কর্মীরা। অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে রাজনীতিকে কেউ কেউ বিত্তশালী হওয়ার সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করে,বিত্তশালী বনে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি থেকে সরেগিয়ে ওই সমস্ত নেতারাই দলের মধ্যে গ্রুপিং সৃষ্টি করে স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ অন্য জনপ্রতিনিধিদের সরকারের উন্নয়ন কাজ এগিয়ে নেওয়া এবং রাজনৈতিক চর্চায় বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন।
বিগত কয়েক বছরে বিত্তশালী হওয়া নেতারা কোন ভাবেই চাচ্ছেন না বর্তমানে এ উপজেলার আওয়ামী লীগের রাজনীতি পরিচ্ছন্নভাবে পরিচালিত হোক। যাতেকরে সরকারের ওপর থেকে সাধারণ মানুষ তাদের আস্থা ফিরিয়ে নেয় এবং বিত্তশালী হওয়া নেতাদের পছন্দের কেউ এ আসন থেকে ভবিৎষ্যতে সাংসদ নির্বাচিত হতে পারে সে কৌশলেই তাদের পথচলা বলেও অনুসন্ধানে উঠে আসে। আরও জানাগেছে সর্বশেষ নির্বাচনে বিগত বছরে বিত্তশালী হওয়া নেতারা কেন্দ্রের সিদ্ধান্তকে মন থেকে মেনে পারেননি। কেননা কেন্দ্র থেকে সিন্ধান্ত বদলে তাদের অনেকেরই রাজনৈতিক পরিচয়ের আয় ম্লান হয়ে গেছে। এই যখন বানারীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের অবস্থা তখন ব্যবসাহীন বিত্তশালীদের নামের তালিকা করে দলকে নতুনভাবে সাজানোর আহবান এসেছে তৃণমূল থেকে।
Leave a Reply