শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০:৫৩ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিনিধি॥ বরিশালে পেঁয়াজ ছাড়াই খোলা বাজারে পণ্য বিক্রি কার্যক্রম শুরু করেছে বাংলাদেশ ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে যাওয়ার সুযোগে সিন্ডিকেটের কারসাজিতে নগরীতে খুচরা বাজারে কেজি প্রতি পেঁয়াজের দাম উঠেছে ১২০ টাকার বেশি। বরিশালে টিসিবির পণ্যের তালিকায় পেঁয়াজ না থাকায় টিসিবির কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সাধারণ মানুষ।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) নগরীর হাটখোলা পেঁয়াজপট্টি সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পেঁয়াজের পাইকারি দর উঠেছে প্রতি কেজি প্রকারভেদে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা। তাছাড়া মঙ্গলবার পাড়া-মহল্লার মুদি দোকানগুলোতে বাড়তি দামে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
পেঁয়াজপট্টির একাধিক সূত্র জানিয়েছে, অতি মুনাফার আশায় পেঁয়াজ নিয়ে সক্রিয় হয়ে উঠেছে সিন্ডিকেট চক্র। তারা কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।নগরীর বটতলা বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুস সালাম জানান, তার দোকানে আমদানি করা পেঁয়াজ ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২৫-১৩০ টাকা পর্যন্ত। তবে দেশি পেঁয়াজের সংকট রয়েছে বাজারে।
এদিকে নগরীতে টিসিবির তিনটি পণ্য বিক্রি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। যদিও টিসিবি সারা দেশে ৪৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রির ঘোষণা দিলেও বরিশালে পণ্য তালিকায় নেই পেঁয়াজের অস্তিত্ব।
এ বিষয়ে টিসিবির বরিশাল বিভাগীয় প্রধান মো. আনিছুর রহমান জানান, কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকেই তাদের পেঁয়াজ সরবরাহ করা হয়নি। যে কারণে তারা পেঁয়াজ ছাড়াই তিনটি পণ্য যথাক্রমে চিনি ৫০ টাকা, মশুরির ডাল ৫০ টাকা ও সয়াবিন তেল ৮৫ টাকা দরে বিক্রি শুরু করেছেন।
টিসিবির এ কর্মকর্তা জানান, দুর্গাপূজা উপলক্ষে পাঁচ দিন মাঠ পর্যায়ে তিনটি পণ্য বিক্রি কার্যক্রম চলবে। প্রতিদিন চারজন ডিলার নগরীর চারটি পয়েন্টে টিসিবি নির্ধারিত মূল্যে চিনি, মশুরির ডাল ও সয়াবিন তেল বিক্রি করবে। তবে এই মুহূর্তে পেঁয়াজ পণ্য তালিকায় থাকার খুব প্রয়োজন ছিল।
বরিশাল জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মুখে টিসিবির পণ্য কিনতে আসা আব্দুর রহমান নামে একজন চাকরিজীবী বলেন, পেঁয়াজের ঝাঁজ এতো বেশি যে তারা দিশেহারা হয়ে পড়ছেন। টিসিবি এই সময়ে পেঁয়াজ না বিক্রি করলে কবে করবে?
মজিবর রহমান নামে এক ক্রেতা জানান, মানুষ পেঁয়াজ নিয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। সরকারি প্রতিষ্ঠান টিসিবি বাজার স্থিতিশীল রাখতে ব্যর্থ। নগরীতে ট্রাকে করে টিসিবি পণ্য বিক্রি করা ডিলার মো. রানা বলেন, ক্রেতা এখন চাচ্ছে পেঁয়াজ। এই সময়ে পিয়াজের চাহিদা ছিল ব্যাপক। কিন্তু সরবরাহ না থাকায় সাধারন মানুষ হতাশ।
সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন বরিশাল জেলা সাধারণ সম্পাদক কাজী এনায়েত হোসেন শিবলু বলেন, পেঁয়াজ মানুষ ছুঁতে পারছে না। এই মুহূর্তে টিসিবি কার্যক্রম শুরু করলেও নগরীতে তালিকায় পেঁয়াজ নেই। রাজধানীতে পেঁয়াজ ৪৫ টাকা দরে দিতে পারলে বরিশালের মানুষ কেন বঞ্চিত হবে। তিনি এজন্য টিসিবির স্থানীয় কর্মকর্তাদের ব্যর্থতাকে দায়ী করেছেন।
Leave a Reply