সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০:১৮ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক॥ বরিশাল নগরীর ২৯নং ওয়ার্ড কেন্দ্রীয় নথুল্লাবাদ বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন লুৎফুর রহমান মডেল (ক্যাডেট) মাদরাসায় হেফজ বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে (১০) ঐ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক হাফেজ মাহমুদুল হাসান কতৃক বলৎকার করার অভিযোগ পাওয়া গেছে (শিক্ষার্থীর উজ্জল ভবিষৎয়ের কথা চিন্তা করে তার পরিচয় গোপন করা হলো)। স্থানীয়দের অভিযোগ এবং মাদরাসার বিষস্থ সূত্র জানায়- গত বুধবার (২৮ আগস্ট) দিবাগত রাতে ঐ শিক্ষার্থীকে মাদরাসার নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে তার হাত ও মুখ চেপে ধরে বেশ কয়েকবার পালাক্রমে বলাৎকার করে লম্পট মাহমুদুল হাসান।
অভিযোগ রয়েছে পরদিন মাদরাসা কতৃপক্ষ বিষয়টি জানতে পারলেও তারা তাৎক্ষনিক কোন ব্যাবস্থা না নিয়ে উল্টো বৃহস্পতিবার দিন সকালে শিক্ষার্থীর বাবা মাদরাসায় ঘটনার বিষয় জানতে চাইলে তার সাথে অসৌজন্যমূলক আচরন করে। যদিও শিক্ষার্থীর বাবা কঠোর অবস্থানে থাকায় তার সাথে খুব বেশি পেরে উঠতে পারেনি তারা। অভিযোগ রয়েছে মাদরাসা কতৃপক্ষ লক্ষাদিক টাকায় রফাদফা করে অভিযুক্ত শিক্ষক মাহামুদুল হাসানকে কোন প্রকার আইনি ব্যাবস্থা না নিয়ে বৃহস্পতিবার বিকালেই তাকে বহিস্কারের নামে দায় এরায় মাদরাসা কতৃপক্ষ। তবে এধরনের ঘটনায় কেন অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্বে কোন আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হলোনা। তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সচতন নগরবাসী।
বিষয়টি নিয়ে লুৎফুর রহমান মডেল (ক্যাডেট) মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এ. কে. এম সুলতানের সাথে কথা বললে তিনি বলেন- ভাই মাদরাসার কথা চিন্তা করে এই শিক্ষকের বিরুদ্বে কোন আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হয়নি। অপরদিকে মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার মাওলানা ইউসুফ হোসেনের সাথে কথা বল্লে তিনি জানান তদন্ত চলমান। তবে কেন ঐ শিক্ষকের ব্যাপারে প্রশাসনিক কোন ব্যাবস্থা নেওয়া হয়নি জানতে চাইলে তিনি কোন সদ-উত্তর দিতে পারেনি। হেফজ খানা বিভাগের প্রধান হাফেজ আব্দুল্লাহ আল মামুনের সাথে কথা হলে তিনি জানান এখনো তদন্ত চলছে।
তবে আইনি ব্যাবস্থা না নিয়ে তাকে কেন ছেড়ে দেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি কি করবো বলেন ভাই। আমি তো আর এই মাদরাসার কতৃপক্ষ নয়। যা দিয়ে যা করেছে মাদানী হুজুর আর সভাপতি সাহেব। মাদারাসার পরিচালক মাদানী হুজুর অসুস্ত থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্বব হয়নি। এ দিকে বিষয়টি নিয়ে এয়ারপোর্ট থানার ওসি (তদন্ত) এ.আর. মুকুল’য়ের সাথে কথা বললে তিনি বলেন- ঘটনাটি অতি নিন্দনীয়। মাদরাসা কতৃপক্ষ কখনোই আইন নিজের হাতে তুলে নিতে পারেনা। তাদের উচিৎ ছিলো অভিযুক্ত শিক্ষক হাফেজ মাহমুদুল হাসানকে আইনের হাতে তুলে দেওয়া।
এবং দ্রুত প্রশাসনিক ব্যাবস্থা নেওয়া। আমি যেহেতু ঘটনাটি শুনেছি। অবস্যই সুনিদৃষ্ট কোন অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে বিষয়টি নিয়ে ২৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো: ফরিদ আহমেদ’য়ের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন- আমিও এমন একটি ঘটনা শুনেছি। তবে আমি বুঝতে পারছিনা যে, কেন মাদরাসা কতৃপক্ষ লম্পট ঐ শিক্ষকের বিরুদ্বে কোন প্রশাসনিক ব্যাবস্থা না নিয়ে বরখাস্থ করলো।
আমি এর যথাযথ বিচার দাবী করছি। অপনদিকে বিষয়টি নিয়ে কাশীপুর হাইস্কুল এ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ও স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সাধারন সম্পাদক- মো: মামুন-অর-রশিদের সাথে আলাপ করলে তিনি বলেন- মাদারাসার এই শিক্ষার্থীরর সাথে যা হয়েছে তাতে ওর ভবিষৎ জীবনেও এর প্রভাব পরতে পারে।
এধরনের ঘটনা এর পূর্বেও ঘটেছে কিনা তাও নজর দেওয়া উচিৎ বল মনে করি। এবং এত বড় একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনায় ঐ লম্পট শিক্ষক কেন আটক হলোনা। এটাও আমি বুঝতে পারছিনা। এর দায়বার কখনই মাদরাসা কতৃপক্ষ এড়াতে পারবেনা বলে মনে করেন এই সচেতন অধ্যক্ষ।
Leave a Reply