শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৩১ পূর্বাহ্ন
বরগুনা প্রতিনিধি:বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় দাদনের পাওনা টাকা আদায় করতে মো. নাঈম (২৪) নামে এক জেলেকে শিকলে বেঁধে নির্যাতন করা হয়েছে। তবে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে।
বুধবার (১২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে পাথরঘাটার বাদুরতলা বাজারে এ নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে গেলে তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে অভিযুক্ত ট্রলার মাঝি মো. আল-আমিন শেকলের তালা খুলে সটকে পড়ে। পরে সাড়ে ৮টার দিকে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য মো. শাকিল আহম্মেদ শিবু এবং পাথরঘাটা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নাঈমকে উদ্ধার করেন।
মো. জহির ও ইউনুসসহ একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিকদের জানান, উপজেলার পূর্ব কালমেঘা ইউনিয়নের রিকশাচালক আব্দুল বারেকের ছেলে নাঈম বাদুরতলা গ্রামের ট্রলার মালিক নাসিরের ট্রলারের শ্রমিক হিসেবে মাছ ধরার সুবাদে দাদনের টাকা আনেন। কিন্তু সে টাকা এনে সাগর মাছ ধরতে যাননি। দীর্ঘদিন পর নাইমকে পেয়ে ওই ট্রলারের হলা মাঝি আল আমিন তার পায়ে শিকল বেঁধে তালা দিয়ে বাদুরতলা বাজারের টলসেডের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রাখে। এরপর সাংবাদিকরা ছবি তুলতে গেলে আল আমিন শিকলের তালা খুলে ঘটনাস্থল থেকে কেটে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আল আমিনকে না পেলেও রাত ১১টার দিকে নাইমকে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এ বিষয়ে পাথরঘাটা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মাসুদ সাংবাদিকদের বলেন, প্রকাশ্যে যুবককে শিকলে বেঁধে রাখা এটি মানবাধিকার লঙ্ঘন। তবে নাইমকে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সদর পাথরঘাটা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মো. শাকিল আহম্মেদ শিবু সাংবাদিকদের বলেন, ট্রলার মালিকের (নাসির) কয়েকদিন আগে একটি ট্রলার ডুবে যাওয়ায় মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এ কারণে তার ট্রলারের হলা মাঝি এমনটি ঘটিয়ে থাকতে পারে। তবে এটি দুঃখজনক। বিষয়টি দ্রুত সমাধান করে দেবো।
Leave a Reply