শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১:২৪ পূর্বাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার দেখানো পথ ধরেই যেন হাঁটছেন তামিম ইকবাল। তার দেখানো পথেই বাংলাদেশের ওয়ানডে দলকে রীতিমতো অপ্রতিরোধ্য করে তুলছেন। টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারলেও ওয়ানডেতে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজকে পাত্তাই দিচ্ছে না টাইগাররা।
গায়ানায় অনুষ্ঠিত তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচে উইন্ডিজকে ৬ উইকেটে হারানোর পর বুধবার দ্বিতীয় ম্যাচে ৯ উইকেটে হারিয়েছে সফরকারীরা। দাপুটে জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ। বলের হিসাবে এটি তাদের তৃতীয় বড় জয়।
শুরুতে ব্যাট করতে নেমে মিরাজ-নাসুমের ঘূর্ণিতে মাত্র ১০৮ রানে গুটিয়ে যায় উইন্ডিজ। রান তাড়া করতে নেমে ৯ উইকেট ও ১৭৬ বল হাতে থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় টাইগাররা। এতেই নিশ্চিত হয় সিরিজ।
ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে টাইগার বোলারদের অনবদ্য বোলিং নৈপুণ্যে স্বাগতিকরা অলআউট হয় মাত্র ১০৮ রানে। ১০৯ রানের লক্ষ্য টপকাতে নেমে বেগ পেতে হয়নি বাংলাদেশ দলকে। ওপেনার তামিমের দায়িত্বশীল ফিফটিতে মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে ৯ উইকেট আর ১৭৬ বল হাতে রেখে জয় তুলে নিয়েছে তামিমের দল।
সিরিজের প্রথম ম্যাচেও ব্যাটে-বলে আধিপত্য বিস্তার করেছিল বাংলাদেশ। প্রথমে ব্যাট করতে নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজ সেদিন সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রানে অলআউট হয়েছিল। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেট ও ৫৫ বল হাতে রেখেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে গিয়েছিল। তাই বাংলাদেশের সামনে সুযোগ ছিল এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ জেতার।
সেই লক্ষ্যে খেলতে নেমে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক তামিম ইকবাল খান। দলনেতার সিদ্ধান্তটা যেন যথার্থই ছিল, বল হাতে সেটারই প্রমাণ দেন বাংলাদেশের বোলাররা। শুরু থেকেই উইন্ডিজের ব্যাটারদের চাপে রাখার পর ইনিংসের ১১তম ওভারে স্বাগতিকদের ওপেনার কাইল মেয়ার্সকে ফেরান তাসকিন আহমেদের বদলি হিসেবে খেলতে নামা টাইগার স্পিনার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। আউট হওয়ার পূর্বে ৩৬ বলে ১৭ রান করেন মেয়ার্স। পরের উইকেটে খেলতে নামা শামারাহ ব্রকসকে মাত্র ৫ রানে সাজঘরে ফেরান নাসুম আহমেদ।
এরপর নাসুম-মিরাজদের ঘূর্ণিতে একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল। বাংলাদেশের বোলাররা ক্যারিবিয়ান ব্যাটারদের এমনটাই চাপে রাখে যে কিমো পাওয়েল ছাড়া কেউই ব্যক্তিগত রানের খাতাটা বিশের ঘরে নিয়ে যেতে পারেননি। ১৮ রানে সাই হোপ, ১১ রানে ব্রেন্ডন কিং, শূন্যরানে অধিনায়ক নিকোলাস পুরান, ১৩ রানে রোভম্যান পাওয়েল, ২ রানে আকেল হোসেন, ৪ রানে রোমারিও শেফার্ড ও শূন্যরানে আউট হন আলযারি জোসেফ।
শেষ উইকেটে গুদাকেস মোতিকে সঙ্গে নিয়ে দলীয় স্কোরটা একশর ঘর পার করেন কিমো পাওয়েল। কিন্তু মোতিও বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকে থাকতে পারেননি। তাকে নিজের চতুর্থ শিকার বানান মেহেদি মিরাজ। আউট হওয়ার আগে ৬ রান করেন মোতি। এদিকে সর্বোচ্চ ২৫ রানে অপরাজিতই থাকেন কিমো পাওয়েল।
Leave a Reply