শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:০৭ অপরাহ্ন
দশমিনা প্রতিনিধি ॥
এমপিওভুক্ত করতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা এলাকাবাসী। পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার ৬নং বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়ানের মধ্যে গছানী গ্রামে গড়ে উঠেছে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধি বিদ্যালয়। ২০১৫ সালে প্রায় ৪৫ জন ছাত্র ছাত্রী নিয়ে একটি টিনের ঘরে যাত্রা শুরু বিদ্যালয়। পরে স্থানীয় কাজী কামাল হোসেন ৫৫ শতাংশ জমি দান করেন। দানকৃত জমির উপর নির্মান করা হয় নতুন আরেকটি টিনসেট বিদ্যালয়। বর্তমানে আরেকটি টিনের ঘর নির্মান কাজ চলমান রয়েছে। উপজেলার একাধিক ইউনিয়ান থেকে প্রায় ৪৫ জন প্রতিবন্ধিদের ৮ জন শিক্ষক দ্বারা এ বিদ্যালয় পাঠদানে আনা-নেয়ার জন্য রয়েছে ১টি ভ্যান।
শিক্ষার্থীদেও কোন বেতন দিতে হয় না আর শিক্ষকরা চাকরি করছেন বিনা বেতনে। গত ৩বছরে বিদ্যালয়টিতে সরকারী কোন সহযোগীতা পায়নি। আজ রবিবার সরেজমিনে পরিদর্শন করলেন একজন অভিভাবক মো.শাহজাহান জানান, আমার ছেলে জম্মগত ভাবেই প্রতিবন্ধী। এ স্কুলে ভর্তি করার পর থেকে শিক্ষকদের অক্লান্ত পরিশ্রমে আমার ছেলে শিক্ষার আলো দেখতে শুরু করেছে।
সে এখন জাতীয় সংগীত, কবিতা ও নিজের নাম লিখতে পারে। এ বিদ্যালয়টি না হলে তা সম্বাব হতনা। বুদ্ধিপ্রতিবন্ধি বিদ্যালয়টিতে কর্মরত প্রধান শিক্ষিকা মোসা. নাজনীন আক্তার মিতু বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কন্যা একজন বিশ্বখ্যাত অটিজম। তিনি অটিস্টিক শিশুদেও নিয়ে কাজ কওে যাচ্ছে।
এ কারনে বিদ্যালয়টি এমপিও করতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষে করছেন। প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কাজী মো.কামাল হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীদেরকে বিনা বেতনে লেখা-পড়াসহ তাদেরকে নাস্তা দেয়ার খরচ বহন করতে হচ্ছে আমাদের। যা খুবই কস্টসাধ্য তবুও আমরা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। আশা করি সরকারী সহযোগীতা পেলে বিদ্যালয়টি উপজেলায় মডেল বুদ্ধিপ্রতিবন্ধি বিদ্যালয়ে পরিনত হবে।
Leave a Reply