সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫, ০২:১১ পূর্বাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট ॥ আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে আয়োজনের নির্দেশনা দিয়ে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এই নির্দেশনার ফলে নতুন করে বাড়ছে ইসির প্রস্তুতির পরিধি এবং বাড়ছে প্রশাসনিক চ্যালেঞ্জও। শনিবার (২২ নভেম্বর) রাজধানীতে আনফ্রেলের এক কর্মশালায় এ তথ্য তুলে ধরেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।
সিইসি বলেন, “সরকার নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে যে গণভোট আয়োজন করা ইসির দায়িত্ব। একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট আয়োজনের নির্দেশনা আগের কোনো কমিশন কখনও পায়নি। তাই এটি একটি নতুন চ্যালেঞ্জ।” তিনি জানান, গণভোট আইন এখনো প্রণয়ন হয়নি। তবে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী সপ্তাহের মধ্যেই গণভোট আইন পাস হবে। আইন পাস হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গণভোট আয়োজনের প্রক্রিয়া শুরু করবে নির্বাচন কমিশন।
তিনি বলেন, “আমাদের ওপর জনগণের প্রত্যাশা এখন অনেক বেশি। তারা একটি সম্পূর্ণ স্বচ্ছ, গ্রহণযোগ্য ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চায়। এই প্রত্যাশা পূরণ করতে পারাটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।” তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন আইন ও বিধি মেনে দায়িত্ব পালনে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। “আমাদের একটাই লক্ষ্য—ফ্রি এবং ফেয়ার নির্বাচন। এর কম বেশি কিছু নয়।”
বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতা খুব মসৃণ না হলেও স্বচ্ছ নির্বাচনের মাধ্যমে রাজনৈতিক অস্থিরতা কমে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন সিইসি। তিনি বলেন, “আমাদের রাজনৈতিক নেতারা দায়িত্ববান। নির্বাচন সুষ্ঠু হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।”
ইসি জানায়, নির্বাচন এবং গণভোট—দুই ধরনের ভোটপত্র, ব্যালট বক্স, আলাদা গণনা পদ্ধতি এবং অতিরিক্ত জনবল ব্যবস্থাপনার পরিকল্পনা ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। একই দিনে দুই গুরুত্বপূর্ণ ভোট আয়োজনের জন্য বাড়তি নিরাপত্তা, প্রযুক্তি ব্যবস্থাপনা ও পর্যবেক্ষক সমন্বয়ও করা হবে।
Leave a Reply