সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:২৩ পূর্বাহ্ন
বরগুনা প্রতিনিধি॥ বরগুনার আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের চার গ্রামের মানুষের একমাত্র চলাচলের মার্যম বাঁশের সাঁকো। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো পার হয়ে বিদ্যালয়ে যেতে হয় শিক্ষার্থীদের।জানা গেছে, উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের রামজি (মৃধার) খালের ওপরে স্থানীয়দের তৈরি বাঁশের সাঁকো পার হয়ে চলাচল করেন ৪ গ্রাম- হলদিয়া, চিলা, গুরুদল ও নাচনাপাড়া গ্রামের প্রায় ৫ হাজার মানুষ। এক সময় এখানে খেয়া নৌকা ছিল। ৮ বছর পূর্বে এ এলাকার মানুষের উদ্যোগে এ বাঁশের সাঁকোটি নির্মাণ করা হয়। এ সাঁকোর রক্ষণাবেক্ষণ এলাকাবাসীই করেন। বাঁশের সাঁকো দিয়ে বৃদ্ধ, মহিলা, ও মুমূর্ষু রোগীরা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পারাপার করেন।
বর্ষা মৌসুমে বঙ্গবন্ধু মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও গুরুদল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ বাঁশের সাঁকো পার হয়ে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করে।নাচনাপাড়া গ্রামের বৃদ্ধ আরশেদ আলী (৭২) জানান, আমার যৌবনকাল থেকেই এমন অবস্থা দেখছি। এত বছর পার হয়ে গেলেও কেউ এখানে একটা ব্রিজ করে দিল না।বঙ্গবন্ধু মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাসরিন ও ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী সোনিয়া জানান, অনেক কষ্ট করে সাঁকো পার হয়ে আমাদের বিদ্যালয়ে আসতে ও যেতে হয়।
হলদিয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আবদুল্লাহ আল মামুন ও সাবেক ইউপি সদস্য মো. স্বপন মিয়া বলেন, এ এলাকার মানুষের ভোগান্তির কথা বিবেচনা করে জরুরি ভিত্তিতে রামজি (মৃধার) খালে একটি সেতু নির্মাণ করা প্রয়োজন।আমতলী উপজেলা প্রকৌশলী মো. নজরুল ইসলাম বলেন, কোমলমতি শিক্ষার্থী ও স্থানীয় মানুষের কষ্টের কথা বিবেচনায় নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে সেতু নির্মাণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply