মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৪৬ পূর্বাহ্ন
আরিফ হোসেন।। বরিশাল বাবুগঞ্জের রহমতপুর কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (এটিআই) অধ্যক্ষ কৃষিবিদ গোলাম মোঃ ইদ্রিস’র বেপরোয়া নীতি ও কর্মকান্ড থেকে শিক্ষার্থীদের মাঝে তিলে তিলে জমানো ক্ষোভ আন্দোলনে রুপ নিয়েছে।
অধ্যক্ষ নিজের কর্মদক্ষতা তুলে ধরতে ব্যবহারিক পরিক্ষার নামে শিক্ষার্থীদের দিয়ে দিনের পর দিন শ্রমিকের কাজ করানো, অল্পতেই শিক্ষার্থীদের গায়ে হাত তোলা, পেঁপে চুরির অভিযোগ এনে শিক্ষার্থীদের টিসি দেওয়া ও অতিরিক্ত পরিক্ষার ফি আদায়সহ বিভিন্ন কারনে দীর্ঘ দুই বছর ধরে জমানো ক্ষোভ আন্দোলনে পরিনত হয়েছে বলে জানিয়েছে অধ্যক্ষ অপসারণের দাবিতে আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারীরা।
সোমবার দুপুরে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষ কৃষিবিদ গোলাম মোঃ ইদ্রিস’র অপসারণসহ ১১ দফা দাবিতে ছাত্রলীগ ও সাধারণ ছাত্র পরিষদের ব্যানারে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের রহমতপুর ব্রীজে মানববন্ধন করে। এর আগে এটিআই প্রশাসনিক ভবনের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে শিক্ষকদের অবরুদ্ধ করে দাবি আদায়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা।
কলেজের প্রশাসনিক ভবনের মূল ফটকে তালা ঝুঁলিয়ে অবরুদ্ধ রাখার সংবাদ পেয়ে ক্যাম্পাসে ছুটে আসেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল আহম্মেদ আজাদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিঃদাঃ) নুসরাত জাহান খান, জেলা কৃষি অধিদফতরের উপ-পরিচালক হরিদাস শিকারী, এয়ারপোর্ট থানার ওসি এস এম জাহিদ বিন আলম, উপজেলা কৃষি অফিসার মরিয়ম বেগম।
এসময় তারা আগামী বৃহস্পতিবার উপজেলা চেয়ারম্যান , ভাইস চেয়ারম্যান ও শিক্ষক সমন্বয় শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা তাদের কর্মসূচী স্থগিত করে।
ঢাকা- বরিশাল মহাসড়কের রহমতপুর ব্রীজে মানববন্ধন শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন অষ্টম সেমিষ্টারের শিক্ষার্থী মোঃ সাগর সরদার, আহম্মেদ হাসান, রিয়াজুল ইসলাম, জান্নাতুন আখি, মেহেদি, ইসা, রাকিবুল হাসান প্রমূখ।
এসময় বক্তারা অধ্যক্ষকে জামায়াত নেতা আখ্যা দিয়ে বলেন , “ক্যাম্পাসে জামায়াত শিবিরের প্রকাশ্যে ইন্ধন দেওয়া হচ্ছে। মুজিব আদর্শ বিলীনের চেষ্টা করা হচ্ছে, ভয়ভিতি প্রদর্শন করে ছাত্র রাজনীতি ধ্বংস করা হচ্ছে। অধ্যক্ষকের ক্ষমতার অপব্যবহারের কারণে এ প্রতিষ্ঠান থেকে ৫ জন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্থানান্তর করেছেন। অধ্যক্ষ সকল শিক্ষার্থীর বাকশক্তি রুদ্ধ করে রেখেছে। এ ছাড়াও কলেজে মুজিব বর্ষ পালন না করায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্ঠি হয়েছে। শিক্ষা নৈরাজ্য বন্ধ করতে হবে । শিক্ষার্থীদের সাথে শ্রমিকের মত আচরন, নম্বর কর্তনের ভয় দেখিয়ে কোনঠাষা করা সহ জামায়াত নেতা অধ্যক্ষ মোঃ ইদ্রিস এর সকল ধরনের অনৈতিক কর্মকান্ড বন্ধ করা ও অপসারণ চেয়ে ওই মানববন্ধন থেকে দাবি জানানো হয়।
এ প্রসঙ্গে অধ্যক্ষ গোলাম মোঃ ইদ্রিস বলেন, “ ২০১৮ সালের ৫ আগষ্ট ইনষ্টিটিউটে যোগদানের পর থেকে ইনষ্টিটিউটের বহিরাগতদের প্রবেশ বন্ধ এবং মাদক মুক্ত করা হয়েছে। তিনি ক্ষোভের সঙ্গে আরো বলেন পূর্বে এ কলেজে শিক্ষার্থীদেরকে হাতে কলমে শিক্ষার জন্য মাঠে যেতে হতো না। এমনকি ল্যাবরেটরী গিয়ে হাতে কলমে কিছু শিক্ষা দেয়া হয়নি। যার কারণে ল্যাবরেটরীতে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে পরে আছে। আমি এসব বিষয় আমূল পরির্বতন করার জন্য শিক্ষার্থীদের সকল বিষয় প্রশিক্ষণের নির্দেশ দেয়ায় শিক্ষার্থীরা আমার অপসরনের দাবী করছে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেন আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার হচ্ছে।
Leave a Reply