রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:০২ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক: ৪০ লাখ টাকার ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রবিবার ডিআইজি মিজানকে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় এ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদক পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যা। শুনানি শেষে বিচারক আবেদন মঞ্জুর করেন।
এর আগে, ১৬ জুলাই দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বরখাস্ত পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির ও ডিআইজি মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মামলাটি করেন দুদক পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যা।
মামলার এজাহারে বাদী বলেন, দুদকের বরখাস্ত পরিচালক বাছির নিজে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য ডিআইজি মিজানের কাছ থেকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন। মিজান দুর্নীতির অভিযোগ থেকে নিষ্কৃতি পাওয়ার জন্য বাছির ঘুষ দিয়েছেন। আর এসব করে দু’জন-ই দণ্ডবিধির ১৬২/১৬৫ (ক)/১০৯ ধারাসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫ (২) ধারা এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪ (২)(৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য জানান, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ থেকে রেহাই পেতে দুদকের পরিচালক এনামুল বাছিরকে ৪০ লাখ টাক ঘুষ দিয়েছেন বলে গত মাসের শুরুতে অভিযোগ করেন ডিআইজি মিজান। অভিযোগটি অস্বীকার করে বাছির দাবি করেন, তার কণ্ঠ নকল করে ডিআইজি মিজান কিছু ‘বানোয়াট’ রেকর্ড একটি টেলিভিশনকে সরবরাহ করেছেন।
অভিযোগ ওঠার পর গত ১২ জুন বাছিরকে সরিয়ে দুদকের আরেক পরিচালক মো. মঞ্জুর মোরশেদকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়। ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ফানাফিল্যাকে প্রধান করে তিন সদস্যের দলকে অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ঘুষ কেলেঙ্কারির ঘটনায় ১৫ জুলাই কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে মিজানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। আর ১০ জুলাই এ বিষয়ে আইনজীবী অ্যাডভোকেট কামাল হোসেনের মাধ্যমে দুদকে লিখিত বক্তব্য জমা দেন বাছির। মিজান ও বাছিরের ঘুষ লেনদেনের ঘটনায় দুদকের অনুসন্ধান কমিটি গঠন হয় ১৩ জুন। তিন সদস্যের এ কমিটির প্রধান দুদক পরিচালক শেখ মো.ফানাফিল্যাহ। অন্য দুই সদস্য হলেন-সংস্থাটির সহকারী পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান ও মো. সালাউদ্দিন।
Leave a Reply