রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:১৯ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ২য় দফায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়ে গতকাল রোববার সকাল ৬টায় ব্রহ্মপুত্র নদের চিলমারী পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ৫৭ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
সকাল থেকে প্রবল বর্ষণের ফলে প্রায় ২ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়ে গোটা চিলমারী পানিতে ভাসছে। বানভাসী মানুষের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। ভারী বর্ষণের ফলে বৃদ্ধি পাওয়া পানি একটি মাত্র স্লুইচগেট দিয়ে নামায় আরও ব্যাপকহারে পানি বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। চলমান বন্যা পরিস্থিতিতেও ভেসে থাকা রাস্তা-ঘাট টানা বৃষ্টির ফলে নতুন করে প্লাবিত হয়ে পড়ায় যোগাগোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
জানা গেছে, গত বছরের বন্যার পানির তোড়ে ব্যাপারীরহাট-কাঁচকোচ বাজার সড়ক (শহর রক্ষা বাঁধ)ভেঙ্গে গিয়ে উপজেলা শহরে পানি ঢুকে পড়ে। গত এক বছরেও অজানা কারনে ওই রাস্তাটি মেরামত করা হয়নি। ফলে চলতি বন্যায় অতি দ্রুত গতিতে পানি ওই পথ দিয়ে ঢুকে পড়েছে শহরে। নদীর পানি হ্রাস পেলেও গত তিন দিনে ওই পথ দিয়ে পানি বৃদ্ধি পেয়ে উপজেলা পরিষদসহ আশপাশের বেশকিছু গ্রাম নুতুন করে প্লাবিত হয়ে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত ছিল।
রাববার সকাল থেকে টানা বৃষ্টিতে কমপক্ষে ২ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়ে উপজেলার প্রায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। উজান থেকে নেমে আসা এবং ভারী বর্ষণের ফলে জমে থাকা পানি নদীতে নেমে যাওয়ার জন্য একটি মাত্র স্লুইচগেট থাকায় পর্যাপ্ত পানি নামতে পারে না। ফলে নুতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়ছে। বাড়ী-ঘরে পানি উঠে পড়ায় শহরের আশপাশের বেশ কিছু পরিবার কেসি সড়ক ও রেল লাইনে আশ্রয় নিয়ে অতি কষ্টে দিনাতিপাত করছে। পানি বন্দি মানুষের মাঝে বিশুদ্ধ পানি, শুকনা খাবার, গো-খাদ্য ও সেনিটেশনের চরম সংকট দেখা দিয়েছে।
পাউবো জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় ব্রহ্মপুত্র নদের চিলমারী পয়েন্টে পানি ৯ সে. মি. হ্রাস পেয়ে সকাল ৬টা থেকে ৩টা পর্যন্ত আবার ৯ মে.মি পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বর্তমানে বিপদসীমার ৬৬ সে. মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ দিয়ে বিকল্প পদ্ধতিতে পানি বের করে দেয়ার দাবী জানায় এলাকাবাসী। পানিবন্দি মানুষের মাঝে এখন পর্যন্ত সরকারী কিংবা বেসরকারীভাবে কোন সাহায্য দেয়া হয়নি।
Leave a Reply