রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৩ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র, ফায়র সার্ভিস এর কাগজ, ট্রেড লাইসেন্স সহ কোন প্রকার বৈধ কাগজ পত্র নেই। রান্নাঘড় দেখলে মনে হয় ড্রেন কিংবা ময়লার বাগার। অভিযোগ রয়েছে, ফ্রিজে দিনের পর দিন পরে থাকা পচাঁ মাছ মাংস অনায়েসে রানা করে খাইয়ে দেওয়া হয় লোক চক্ষুর আড়ালে। আইন আছে, নিয়ম আছে আছে, আছে শাস্তির বিধান। মাঝে মাঝে ভ্রাম্যমান আদালত ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাঝে মাঝে অভিযান পরিচালনা করা হয়। করা হয় জরিমানা।
তবুও যেন থেমে থাকেনা তাদের বেশি লাভের আশায় লোক ঠকানোর ব্যাবসা। বলছি দেশের ভিবিন্ন স্থানের মতো বরিশালেও ব্যাঙ্গের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা বেশ কয়েকটি হোটেল রেস্তোরার কথা। এবার বরিশাল নগরীর রুপাতলি এলাকার আলহাজ্ব মোবারক আলী কম্পেলেক্সে অবস্থিত খাবার বাড়ি হোটেলের বিরুদ্বে বাসি খাবার বিক্রি, অতিরিক্ত মূল্য রাখা ও অপ্রাপ্ত বয়সের শিশুদের দিয়ে কাজ করানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
যা নিয়ে ইতি মধ্যে ওই এলাকায় সমালচনা সৃস্টি হয়েছে বলেও জানাযায়। স্থানিয়দের দেওয়া অভিযোগে জানাযায়- রুপাতলি বাসস্টান্ড সবসময় ব্যাস্ততম যায়গা হওয়ায় “খাবার বাড়ি” নামক রেস্তোরাটিততে ক্রেতার বেশি ভিড় জমায়। সময় সংক্ষিপ্ত হওয়ায় ক্রেতাদের খাবারের মান যাচাই বাছাইয়ের পর্যাপ্ত সময় থাকেনা। আর এই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে খাবার বাড়ি রেস্তোরার কতৃপক্ষ অতি নিম্নমানের খাবার ক্রেতাদের সামনে দেয়। যার ফলে ক্রেতারা বাধ্য হয়ে সেই খাবার খেতে হয়। অভিযোগ রয়েছে তুলনামূলক ভাবে নতুন হলেও এই হোটেলটির সকল খাবারের মূল্য প্রকৃত মূল্যের চেয়ে প্রায় দ্বি-গুন রাখা হয়। যদিও রেস্তোরাটির উপরে বা সামনের পরিবেশ যতটাই না ফিটফাট।
তবে রান্না ঘড়ের অবস্থা ততটাই খারাপ। এ দিকে অভিযোগ রয়েছে- “খাবার বাড়ি” রেস্তোরায় ক্রেতাদের কাছ থেকে মূল্য বেশি রাখা, নিম্মমানের খাবার খাইয়েয় শান্ত হয়না। সরেজমিন পরিদর্শন করে দেখা যায়- খাবার বাড়ি রেস্তোরার কতৃপক্ষ তাদের খাবার পরিবেশনের জন্য বেশ কয়কজন অপ্রাপ্ত বয়স্ক শিশুদের দ্বারা কাজ করানো হচ্ছে। যা সম্পূন্য শিশু আইন অমান্যের শামীল বলে মনে করছেন সচেতন মহল। কোন খাবার হোটেল কিংবা রেস্তোরা চালু করতে হলে বেশ কিছু সরকারি কাগজ পত্র থাকতে হবে বলে আইনে থাকলেও খাবার বাড়ী রেস্তোরা এ্যান্ড সুইটস’র কোন প্রকার বৈধ কাগজ পত্র নেই বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বরিশাল জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক – শাহ শোয়াইব মিয়া বলেন আসন্য রমজান উপলক্ষে দ্রব্যমূল্য স্থীতিশীল রাখার লক্ষে ভেজাল পন্য বিক্রির ব্যাপারে ভোক্তা অধিকার সচেস্ট। ভেজাল খাবারের বিরুদ্বে আমাদের অবস্থান সব সময় কঠোর।
আমরা সব সময় এ ধরনের অসাধু ব্যাবসায়ীদের বিরুদ্বে ব্যাবস্থা নিয়ে থাকি। অভিযোগের বিষয়ে জানার জন্য খাবার বাড়ি রেস্তোরার কতৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার জন্য (০১৯৭৫-…….২৬৮) ফোন করা হলে মালিক পরিচয়দানকারী সোহেল অকপটে শিকার করেন যে তাদের রেস্তোরাটির শুধু একটি কাগজ ছাড়া আর কোন বৈধ কাগজ নেই। শিশু শ্রম, নিম্ন মানের খাবার, এবং রান্নাঘড়ের ম পরিবেশ নিয়ে জানতে চাইলে তিনি কোন সদ-উত্তর দিতে পারেনি।
Leave a Reply