সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৮ অপরাহ্ন
বরগুনা প্রতিনিধি॥ বরগুনার বহুল আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় পৃথক আদালতে আরো ৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার জেলা ও দায়রা জজ মো: আছাদুজ্জামান ও নারী ও শিশু নির্যাতন দম ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো: হাফিজুর রহমানে আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা রেকর্ড করা হয়েছে। এদিকে মারুফ বিল্লাহকে একজনকে জামিন দিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ভুবন চন্দ্র হাওলাদার বলেন, জেলা ও দায়রা জজ আদালতে সাইফুল ইসলাম সুমন, সাকিব হাসান ও মীর রাফিউল হাসান এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আবুল কালাম আল মাসুদ নামে আরো চারজনের সাক্ষ্য ও জেরা সম্পন্ন হয়েছে।
তিনি জানান, পৃথক আদালতে এ পর্যন্ত ৭২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা অনুষ্ঠিত সম্পন্ন হয়েছে। এদের মধ্যে জেলা ও দায়রা আদালতে ৫০ জন ও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ২২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ রেকর্ড করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মারুফ বিল্লাহ নামে একজনকে জামিন দিয়েছেন। এ আদালতে ১৪ জন আসামীর মধ্যে ৫জন ও উচ্চ আদালত থেকে দুইজন জামিনে রয়েছেন। জামিনে মুক্ত শিশু আসামিরা হল, নাজমুল হাসান, রাকিবুল হাসান নিয়ামত, সাইয়েদ মারুফ বিল্লাহ, মারুফ মল্লিক, প্রিন্স মোল্লা, রাতুল সিকদার ও আরিয়ান হোসেন শ্রাবণ।
এর আগে কড়া পুলিশি নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে প্রাপ্ত বয়স্ক ৫ আসামি ও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে জামিনে থাকা ৬জনসহ ৯জন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।আদালতে সাক্ষ্য দেয়ার পরে কোর্ট প্রাঙ্গণে সাক্ষ্য আবুল কালাম আল মাসুদ বলেন, ঘটনার দিন ২৬ জুন আমি কলেজ রোডে জননী ষ্টেশনারী এন্ড ভ্যারাইটি ষ্টোরে ছিলাম। আমি যা দেখেছি তা আদালতে বলেছি। নয়ন বন্ড ও রিফাত ফরাজিকে কোপাতে দেখেছি।অন্য স্বাক্ষীরা বলেন, ঘটনার পরে আমরা গণমাধ্যমে রিফাত শরীফকে কোপানোর দৃশ্য দেখতে পাই। আসামি পক্ষের প্রাপ্তবয়স্ক আইনজীবীরা জেরা করেননি।শিশু আদালতে সকল আসামিদের পক্ষে জেরা করেন, আইনজীবী মো: হুমায়ূন কবির। তিনি বলেন, মাসুদ যে সাক্ষ্য দিয়েছেন। তাতে তিনি শিশু কোন আসামিকে কোপাতে দেখেননি।
Leave a Reply