শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২৭ পূর্বাহ্ন
ভোলা প্রতিনিধি॥ ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলায় স্বামীকে পরকীয়ায় বাঁধা দেয়ায় দুই মাসের অন্তসত্বা স্ত্রীকে মারধর করেছে পাষন্ড স্বামী মো. দুলাল। গত শুক্রবার রাতে তজুমদ্দিন উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের খাশের হাট বাজার সংলগ্ন আ. রশিদ বেপারী বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
রোববার সন্ধ্যায় আহত গৃহবধুর বাবা মো. বাচ্চু হাওলাদার অভিযোগ করে বলেন, চলতি বছরের জানুয়ারী মাসে উপজেলার খাশেরহাট বাজার সংলগ্ন বেপারী বাড়ির আ. রশিদ বেপারীর ছেলে মো. দুলালের সাথে তার মেয়ে সীমান্ত আক্তারের সামাজিকভাবে বিবাহ হয়। কিন্তু বিবাহের পর সীমান্ত জানতে পারে দুলালের সাথে তার প্রবাসী বড় ভাই মো. জাকিরের স্ত্রী নাছিমা ও তার এক মামাতো বোনরে সাথে প্রেমের সম্পর্ক আছে।
এ বিষয়ে সীমান্ত আক্তার দুলালকে নিষেধ করলে দুলাল কারনে অকারনে সীমান্ত আক্তারকে মারধর করতে থাকে। এবং তাদের কাছ থেকে মোটা অংকের যৌতুক দাবি করেন। এ পর্যন্ত ভিবিন্ন সময়ে সাড়ে পাঁচ লাখ টাকর মত দুলালকে দেয়া হয়েছে। এ নিয়ে স্থানীয়রা কয়েকবার শালিশ মিমাংসা করেও কোনো লাভ হয়নি।
সর্বশেষ গত শুক্রবার রাত ১১টার দিকে দুলালের বাবা আ. রশিদ হাসপাতাল থেকে ডাক্তার দেখিয়ে বাসায় আসলে তাকে সবাই দেখতে আসে। কিন্তু সীমান্ত আক্তারের যেতে একটু দেরী হওয়ায় দুলাল রুমে এসে তাকে টর্চ লাইট দিয়ে বেধম মারধর করে। এ সময় তার সাথে জাকিরের স্ত্রী নাছিমা সীমান্তকে গলা চেপে ধরে মেরে ফেলতে চায়। এক পর্যায়ে দুলাল অন্তসত্বা স্ত্রীকে কোলে তুলে নিয়ে উপর থেকে ফেলে দেয়।
পরে সীমান্ত জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। তিনি আরও জানান, সীমান্ত জ্ঞান হারিয়ে ফেলার পর দুলাল তার কাছ থেকে মোবাইল ফোন নিয়ে বন্ধ করে রাখে। সীমান্তের ফোন বন্ধ পেয়ে তিনি পাশের বাড়ির মহন চৌধুরীকে ফোন দিয়ে দুলালদের বাড়িতে যেতে বলে। মহন চৌধুরীর স্ত্রী ও ছেলে রাতে দুলালদের বাড়ি থেকে সীমান্ত আক্তারকে উদ্ধার করে তাদের বাড়িতে নিয়ে আসে।
কিন্তু দুলালদের ভয়ে তারা সীমান্তকে হাসপাতাল নিতে পারেনি। পরবর্তী সীমান্তের বাবা মো. বাচ্চু হাওলাদার রবিবার ঢাকা থেকে এসে মেয়েকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে সীমান্ত আক্তার ভোলা সদর হাসপাতালের মহিলা সার্জারী ওয়ার্ডের ৫৬ নং বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মো. দুলাল অভিযোগ অস্বিকার করে বলেন, তাকে কোনো মারধর করা হয়নি।
তবে গালমন্দ করা হয়েছে। আমরা তাদের কাছে কোনো যৌতুক দাবি করিনি। সীমন্ত উঠানে পরে গিয়ে শরীরে বিভিন্ন স্থানে দাগ হয়েছে। তজুমদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত মো. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আমরা ঘটনা শুনেছি। লিখিত অভিযোগ দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ দিকে একটি প্রভাবশালী মহল এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা না নিতে মেয়ে পক্ষকে চাপ প্রয়োগ করতে আছেন।
Leave a Reply