রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩১ অপরাহ্ন
লালমোহন প্রতিনিধি॥ মেঘনা নদীতে অসময়ে ধরা পড়ছে রূপালী ইলিশ। ভোলার লালমোহনের হাটবাজার গুলোতে ছেয়ে গেছে ইলিশে। নদীতে ইলিশ ধরা পড়ায় হাসি ফুটে উঠেছে জেলেদের মুখে।
উপজেলার বাত্তির খাল, কামারের খাল, সর্দারের খাল, শামপাটারির কাঠির মাথা, গাইট্রা, বুড়ির দোন, চাঁদমিয়ার হাট সংলগ্ল ঘাট ও বেতুয়া স্লুইজ ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে প্রতিনিয়ত প্রচুর ইলিশ নিয়ে আসছেন জেলেরা।
মেঘনার বাত্তির খাল এলাকার জেলে জসিম ও শাহ আলম বলেন, গত কয়েক বছর সারাদিন জাল নিয়ে ছুটলেও ফিরতে হতো প্রায়ই খালি হাতে। কিছুদিন হলো মাছ পাওয়া যাচ্ছে। একদিন ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার মাছ পাওয়া যাচ্ছে।
বুড়ির দোন এলাকার জেলে আবদুর রহমান বলেন, চারদিনে প্রায় ৫০ হাজার টাকার মাছ বিক্রি করেছি। নদীতে প্রচুর মাছ পাওয়া যাচ্ছে। এতে অনেক জেলেই দাদন শোধ করে ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন।
বেতুয়া স্লুইজ মাছ ঘাটের এক আড়তদার বলেন, নদীতে মাছ ধরা পড়ায় জেলে ও আড়তদাররা অনেক খুশি। দিন যতো বাড়ছে ততো বেশি মাছ ধরা পড়ছে। এখানকার মাছ স্থানীয় হাট বাজার ছাড়াও ঢাকা, বরিশাল ও চাঁদপুর পাঠানো হয়।
মাহে আমল নামের এক আড়তদার জানান, মাছ ধরা পড়ছে গত অবরোধে মা ইলিশ না ধরার কারণে। অবরোধ নিয়ে কিছুটা চিন্তিত ছিলেন জেলেরা, কারণ মহাজনের দাদনের টাকা পরিশোধ করতে পারবে কিনা এ ব্যাপারে চিন্তিত ছিলেন তারা। কিন্তু আল্লাহ সব চিন্তা দূর করে দিয়েছেন। পর্যাপ্ত মাছ ধরা পড়েছে। এতে আশাকরি সকল জেলেরা ঘুরে দাঁড়াতে পারবে।
লালমোহন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সুদীপ্ত মিশ্র বলেন, গত ইলিশের প্রজনন মৌসুমে অবরোধ সফল হওয়ায় একটু দেরি হলেও নদীতে ইলিশ ধরা পরছে সুফল পেতে যাচ্ছে জেলেরা।
তবে স্থানীয় ক্রেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীতে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়লেও আমরা জাটকা বা ছোট ইলিশ ছাড়া বড় কোন ইলিশ কিনতে পাইনা, স্থানীয় হাট বাজার গুলোতে কিছু জাটকা ইলিশের দেখা মিলে ও বড় ইলিশগুলো ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শহরে নিয়ে যায় জেলেরা।
Leave a Reply