রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৬ অপরাহ্ন
চরফ্যাশন প্রতিনিধি॥ চরফ্যাশন উপজেলার মিয়াজানপুরে শিক্ষক পরিবারে কৃষি জমি জবর দখল করে ইটভাটা স্থাপনের অভিযোগ উঠেছে।
রাজনৈতিক প্রভাবখাটিয়ে ভুয়া দলিল দেখিয়ে মিসকেইচ সৃজন করে জমাখারিজ (নামজারী) এবং জীবিত ব্যক্তিকে মৃত দেখিয়ে নোটারিপত্র তৈরি করে শিক্ষক পরিবারের রেকর্ডিয় জমির জবর দখল করা হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষক কবির হোসেন অভিযোগ করেছেন।
মিয়াজানপুর গ্রামের অহিদুর রহমান মিয়াজীর ছেলে মাদরাসা শিক্ষক কবির হোসেন জানান, মিয়াজানপুর মৌজার দিয়ারা ১৪৫ এবং এসএ ২১২ খতিয়ানে তিনি এবং তার মা ভাই-বোনদের জমির পরিমাণ ১১ দশমিক শূন্য পাঁচ একর। ওই জমি থেকে বিভিন্ন ক্রেতার কাছে তারা ৮ দশমিক এক সাত একর জমি বিক্রি করেন। বিক্রির পর ২ দশমিক ৮০ শতাংশ জমিতে তারা ভোগ দখলে আছেন।
কবির হোসেন অভিযোগ করেন, চরফ্যাশন পৌরসভার ৫নম্বর ওয়ার্ডের মৃত ইদ্রিস মিয়ার ছেলে ইমাম হোসেন নিরবসহ পূর্ববর্তী ৮ দশমিক এক সাত একর জমির ক্রেতারা চরফ্যাশন সাব রেজিস্ট্রি অফিসের ৫৪৯৪/২০ ভুয়া দলিল দেখিয়ে ৪৫৪৩/১৮-১৯ নামজারী কেইসের মাধ্যমে এক দশমিক চার ছয় একর জমি নিজেদের নামে রেকর্ড করিয়ে নেন। পাশাপাশি ভুয়া নোটারিপত্র সৃজন করে অবশিষ্ট এক দশমিক তিন চার একর জমি নিজেদের নামে লিখিয়ে নেন। এই নোটারিপত্র তৈরি করতে গিয়ে ৩০ শতাংশ জমির মালিক ফাজিলত বেগমের স্বামী জীবিত মানিক বাগাকে মৃত দেখানো হয়েছে।
জানা গেছে, প্রভাবশালী ইমাম হোসেন নিরব ও ছাত্রলীগ নেতা তোফায়েল আহমেদ ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে অসহায় শিক্ষক পরিবারের জমি দখল করে ইটভাটা ও বরফ কল গড়ে তোলেন। এখন শিক্ষক পরিবারটিকে তাদের জমি থেকে সরে যাওয়ার জন্য হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
ইটভাটা মালিক ইমাম হোসেন নিরবকে একাধিক বার ফোন করেও ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য জানাযায়নি।
অভিযোগ প্রসঙ্গে তোফায়েল আহমেদ জানান, ওই জমি আমি ইমাম হোসেন নিরবের কাছ থেকে কিনে বরফ মিল স্থাপন করেছি। জাল জালিয়তির কোনো বিষয় আমার জানা নেই।
চরফ্যাশন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনির হোসেন মিয়া জানান, একপক্ষের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে জমি সংক্রান্ত বিরোধীয় বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Leave a Reply