ব্যক্তিগত গাড়িতে বাড়ি ফেরার সুযোগ মুহূর্তেই বেড়ে গেছে গাড়ির ভাড়া Latest Update News of Bangladesh

বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৭ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩
সংবাদ শিরোনাম:




ব্যক্তিগত গাড়িতে বাড়ি ফেরার সুযোগ মুহূর্তেই বেড়ে গেছে গাড়ির ভাড়া

ব্যক্তিগত গাড়িতে বাড়ি ফেরার সুযোগ মুহূর্তেই বেড়ে গেছে গাড়ির ভাড়া




ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক।। কখনো ঘোষণা দেওয়া হচ্ছে পুলিশের চেকপোস্টে ব্যাপক কড়াকড়ি, পায়ে হেঁটেও পার হওয়া যাবে না। আবার কখনো খুলে দেওয়া হচ্ছে চেকপোস্ট। আকর্ষিক এসব ঘোষণায় বিভ্রান্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এই ধরনের সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনাও হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে দিনভর ছিল ব্যক্তিগত গাড়িতে বাড়ি ফেরার সুযোগ পাওয়ার বিষয়টি। একজন লিখেছেন, ‘এ দেশটা কি বাড়ি, ঝাড়ি আর গাড়িওয়ালাদের’? আরেকজন লিখেছেন, ‘কষ্ট করে গরীব মানুষ বাড়ি ফেরার পর কি ধনীদের জন্য উন্মুক্ত করা হলো গাড়িতে বাড়ি যাওয়ার সুযোগ। তাহলে গণপরিবহন আটকে রেখে লাভ কি?’

 

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগ) ওয়ালিদ হোসেন ইত্তেফাককে বলেন, ‘পুলিশ সদর দফতর থেকে আমাদের কাছে নির্দেশনা এসেছে যারা বাড়ি যেতে চান, তারা বাড়ি যেতে পারবেন। পুলিশ পথে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তায় চেকপোস্টও থাকবে। তবে গণপরিবহন বন্ধ থাকবে।’ তাহলে কীভাবে মানুষ বাড়ি যাবে? যাদের নিজস্ব যানবাহন নেই তারা কি তাহলে বাড়ি যাবে না? জবাবে তিনি বলেন, আমরা সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি।

 

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে সিদ্ধান্ত আসে বাড়ি যাওয়ার পথে কাউকে বাধা দেওয়া যাবে না। অর্থাত্ গণপরিবহন ছাড়া অন্য যে কোনোভাবে চাইলে কেউ বাড়ি যেতে পারবেন। এই সিদ্ধান্তের পর মধ্যরাতেই পুলিশ রাজধানীবাসীদের প্রবেশ এবং বাইরে যাওয়ার চেকপোস্টগুলো উন্মুক্ত করে দেয়। তবে গতকাল সকালে এই সিদ্ধান্ত জানাজানি হওয়ার পর রেন্ট-এ-কারের ভাড়া কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। ৫ হাজার টাকা ভাড়া ১৫ হাজার টাকা দিয়েও গাড়ি মিলছে না রাজধানীতে। অনেকেই নিজের এলাকা থেকে উচ্চমূল্যে ভাড়া করে গাড়ি ঢাকায় এনে বাড়ির উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করছেন।

 

করোনা ভাইরাস মহামারির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গঠিত ‘জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির’ সদস্য ভাইরোলজিস্ট অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘এ ধরনের সিদ্ধান্তের ফলে ভাইরাস তো সারাদেশে ছড়িয়ে যাবে। রাজধানীতে এখন আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। সারাদেশের সব জেলায় তত নয়। এখন ঢাকা থেকে মানুষ যদি নিজস্ব পরিবহনেও যায়, ভাইরাসটা তো সঙ্গে নিয়েই যাচ্ছে। এতে ঝুঁকি বাড়বে।

 

গাড়িতে বাড়ি যাওয়ার সুযোগের এই সিদ্ধান্তে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনার ঝড় বইছে। অনেকেই হঠাত্ করে নেওয়া এসব সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করছেন। তারা বলছেন, যদি বাড়ি যাওয়ার সুযোগ দিতেই হয় তাহলে কেন এই কয়দিন সাধারণ মানুষকে কষ্টের মধ্যে ফেলা হলো? কেন ফেরি বন্ধ করে বৃষ্টির মধ্যে রাতভর বসিয়ে রাখা হলো মানুষকে। আবার ফেরি ফিরিয়ে দিয়ে চরম ভোগান্তিতে ফেলা হয়ে বহু মানুষকে। পরিকল্পিতভাবে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে তো মানুষের ভোগান্তি অনেকই কমে যেত।

 

গত ১৪ মে সর্বশেষ ছুটির আদেশে বলা হয়, ‘সাধারণ ছুটি চলাচলে নিষেধাজ্ঞার মধ্যে কেউ কর্মস্থল ত্যাগ করতে পারবে না। এই সময় সড়কপথে গণপরিবহন, যাত্রীবাহী নৌযান ও রেলচলাচল এবং অভ্যন্তরীণ রুটে বিমান চলাচল বন্ধ থাকবে। জরুরি সেবায় নিয়োজিত যানবাহন ছাড়া অন্যান্য যানবাহন কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।’ এই ঘোষণার পর অনেকেই বাড়ির উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। ফলে গত ১৭ মে থেকে ঢাকায় প্রবেশ ও ঢাকা থেকে বাইরে যাওয়ার ব্যাপারে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

 

নগরীতে প্রবেশ ও বেরোনোর পথে চেকপোস্ট বসিয়ে মানুষের চলাচল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু নানা অজুহাতে ও বিভিন্ন উপায়ে ঢাকা ছাড়ছিল মানুষ। রাস্তায় যানজট আর ফেরিগুলোতে ছিল উপচে-পড়া মানুষের ভিড়। দুই দিন ফেরি বন্ধও রাখা হয়। তবুও ঠেকানো যায়নি মানুষের স্রোত।

 

হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মল্লিক ফখরুল ইসলাম বলেছেন, বাড়িতে গিয়ে যারা ঈদ করতে চেয়েছেন সরকার তাতে সম্মতি দিয়েছে। কিন্তু গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। পুলিশ সড়ক ও মহাসড়কে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা দেবে। সেভাবেই কাজ চলছে। তবে অবশ্যই সবাইকে নিজস্ব পরিবহনে যেতে হবে।

 

পুলিশ সদর দফতরের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, আমরা সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করি। যখন যেভাবে নির্দেশনা আসে সেভাবেই মাঠপর্যায়ে বাস্তবায়ন করা হয়। এই সিদ্ধান্তগুলোর ব্যাপারে পুলিশের কোনো ভূমিকা নেই।

 

এদিকে গতকাল সায়েদাবাদ, গাবতলী ও মহাখালি টার্মিনালে গিয়ে দেখা গেছে, অনেক মানুষ টার্মিনালে এসে ভিড় করেছেন। নেত্রকোনা যেতে বের হয়েছেন রফিকুল ইসলাম।

 

তিনি বলেন, ‘সরকার যখন বাড়ি যাওয়ার সুযোগ দিয়েছে তখন নিশ্চয় একটা ব্যবস্থা হবে। যাদের টাকা আছে তারা মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার ভাড়া করে বাড়ি চলে যাচ্ছেন। আমরা বসে আছি, যদি কোনো গাড়ি ছাড়ে? না হলে ট্রাকে বা পিকআপে চলে যাব।’ দুই মেয়ে নিয়ে অপেক্ষারত আরেকজন রহিমা খাতুন বলেন, ‘ভাইরাস-টাইরাস সব বড়োলোকদের জন্য। আমাদের কিছু হবে না। ঢাকায় কোনো কাজ নেই, বাড়িও যেতে দেবে না, তাহলে খাব কি?’

 

কাফরুলের রেন্ট-এ-কারের মালিক আব্দুর রহমান বলেন, সকাল থেকেই মানুষের প্রাইভেট গাড়ির চাহিদা বেড়ে গেছে। গাড়ি মালিকরাও তাদের ভাড়া দুই থেকে তিনগুণ বাড়িয়ে দিয়েছেন। ফলে ৮ হাজার যে ভাড়া ছিল সেটা ২৫ হাজার টাকা দিলেও গাড়ি মিলছে না। অনেকে বেশি ভাড়া দিয়েও গাড়ি নিয়ে বাড়ি যাচ্ছেন।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD