শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২০ পূর্বাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ বরগুনায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাকে বিবস্ত্র অবস্থায় নারীর জুতাপেটার ঘটনায় চারজনকে আসামি করে আদালতে মামলা হয়েছে। সেটি তদন্তে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আইনজীবী সাইমুল ইসলাম রাব্বি জানান, বরগুনা সদর উপজেলার নলটোনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রবিবার (১৭ এপ্রিল) বাদী হয়ে জেলার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে মামলাটি করেন।
মামলায় নারীসহ চারজনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিরা হলেন- মো. আতিকুর রহমান সগীর (পাইপ সগীর), লিপি আক্তার রিমা, জাকির ফকির ও মো. জাহিদ।
সংঘবদ্ধ চক্র পরিকল্পিতভাবে জিম্মি করে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় মামলাটি করা হয়েছে।
মামলার বাদী মো. শাহ আলম জাকির বরগুনা সদর উপজেলার নলটোনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। পাশাপাশি তিনি বাবুগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
বাদী শাহ আলম অভিযোগ করে বলেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আমি বিভিন্ন সময়ে লোকজনকে সরকারি-বেসরকারি নানা ধরনের সহায়তা পেতে সহযোগিতা করে আসছি। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে মুঠোফোনে কল করে আসামি লিপি আক্তার রিমা নিজেকে অসহায় দাবি করে আমার কাছে সহায়তা চায়। আমি তাকে সহায়তার আশ্বাস দিই এবং মাঝে মাঝে ফোনে কথা হয়।
গত ৭ এপ্রিল বিকেলে রিমা আমাকে ফোন করে সাক্ষাতে কথা বলতে বরগুনা পৌর শহরের ধানসিঁড়ি সড়কে এক নিকটাত্মীয়ের বাসায় আসতে বলেন। ওই দিনই তারাবির নামাজ শেষ করে রাত সাড়ে নয়টার দিকে ধানসিঁড়ি সড়কের ওই বাসায় গেলে সেখানে কয়েকজন অপরিচিত ব্যক্তি ঘরের দরজা বন্ধ করে আমাকে মারধর করে। একপর্যায়ে রিমা জুতাপেটা করে এবং এসব দৃশ্য মুঠোফোনে ধারণ করে। পরে ওই ব্যক্তিরা পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।
শাহ আলম বলেন, চাঁদার টাকা না দিলে ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। পরে আমার ছেলের মাধ্যমে আসামিদের ৬০ হাজার টাকা দিয়ে জিম্মি থেকে মুক্তি পেয়ে বাড়িতে চলে যাই। ঘটনার একদিন পর রিমা কল করে বাকি টাকা চায়। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়।
আইনজীবী সাইমুল ইসলাম রাব্বি বলেন, মোটা অঙ্কের চাঁদা আদায়ের উদ্দেশে জিম্মি করে ব্ল্যাককমেইল করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিনি আদালতের কাছে বিচার প্রার্থনা করেছেন।
এদিকে জুতাপেটার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা শাহ আলমের বিরুদ্ধে ১২ এপ্রিল উপজেলা আওয়ামী লীগের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। পরে ১৬ এপ্রিল তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় উপজেলা আওয়ামী লীগ। সেইসঙ্গে ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটিও করা হয়।
Leave a Reply